ঢাকা | শুক্রবার
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাভে ১৩ কোম্পানি, লোকসানে ১০

পুঁজিবাজারে উত্থান-পতন

চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২১-২০২২) পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ১৩ কোম্পানির ব্যবসায় লোকসান থেকে লাভে ফিরেছে। একই সময় অন্য ১০ কোম্পানি লাভ থেকে লোকসানে ডুবেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ২৩ কোম্পানির আর্থিক হিসাব থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও পুঁজিবাজারের ১৩ কোম্পানি ভালোভাবেই ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ব্যবসায়ের সুপরিকল্পনায় কোম্পানির কর্তৃপক্ষ করোনার নেতিবাচক ধাক্কা সামাল দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। ফলে চলতি অর্থবছরের (২০২১-২০২২) প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৩ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে লোকসান কাটিয়ে লাভে চলে এসেছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে লাভে ফিরে আসা কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ইউনিক হোটেল, দেশ গার্মেন্টস, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, দেশবন্ধু পলিমার, জেমিনি সী ফুড, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, বীচ হ্যাচারি, হামিদ ফেব্রিকস, প্রাইম টেক্সটাইল, এপেক্স ট্যানারি, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, অলটেক্স ও সাফকো স্পিনিং। অপরদিকে করোনার নেতিবাচক ধাক্কা সামাল দিতে না পেরে পিছিয়ে পড়েছে পুঁজিবাজারের ১০ কোম্পানি। ফলে চলতি অর্থবছরের (২০২১-২০২২) প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ওই কোম্পানিরগুলো লাভের থেকে লোকসানে চলে এসেছে। লাভ থেকে লোকসানে আসা কোম্পানিগুলো হলো- ন্যাশনাল ফিড, সায়হাম কটন, খুলনা পাওয়ার, রহিমা ফুড, ডেল্টা স্পিনার্স, আরগন ডেনিমস, সেন্ট্রাল ফার্মা, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড ও জাহিন স্পিনিং।

লোকসান কাটিয়ে লাভে আসা ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের আগের অর্থবছরের (২০২১-২০২০) প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১২ পয়সা। চলতি অর্থবছরের (২০২২-২০২১) প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) লোকসান থেকে লাভে চলে এসেছে। প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ২৪ পয়সা। এরপর দেশ গার্মেন্টসের আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৪৬ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ৫৪ পয়সা। শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৫৮ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ৬৩ পয়সা।

দেশবন্ধু পলিমারের আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩৪ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ৩৪ পয়সা। জেমিনি সী ফুডের আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৭ দশমিক ৯২ টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ৫ দশমিক ১২ টাকা। সোনারগাঁও টেক্সটাইলের আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৮৭ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ২০ পয়সা।

বীচ হ্যাচারির আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১০পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ২ পয়সা। হামিদ ফেব্রিকসের আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৯৭ পয়সা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ১৮ পয়সা। প্রাইম টেক্সটাইলের আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ দশমিক ৭৩ টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ৩০ পয়সা। এপেক্স ট্যানারির আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ দশমিক ৩৩ টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ১৬ পয়সা।

গোল্ডেন হার্ভেস্টের আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৬৩ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ৫ পয়সা। অলটেক্সের আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ২ দশমিক ২৮ টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ১২ পয়সা। সাফকো স্পিনিংয়ের আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৪ দশিমিক ৪৩ টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ৪ পয়সা।

এছাড়া ন্যাশনাল ফিডের চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস ৫৫ পয়সা। সায়হাম কটনের চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস ৩৭ পয়সা। খুলনা পাওয়ারের চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৮ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস ১ দশমিক ৫৭ টাকা। রহিমা ফুডের চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস ৮ পয়সা।

ডেল্টা স্পিনার্সের চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস ৭ পয়সা। আরগন ডেনিমসের চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস ৬৪ পয়সা। সেন্ট্রাল ফার্মার চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৮ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস ১৬ পয়সা।

গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪৮ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস ৩৯ পয়সা। ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডের চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৭৭ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস ৮ পয়সা। জাহিন স্পিনিংয়ের চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪৪ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইপিএস ২ পয়সা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন