পুঁজিবাজারে সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন বেড়েছে ৫৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর। কমেছে ৩৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দর। আগের কার্যদিবস থেকে এদিন ডিএসইর লেনদেন পরিমাণ কমলেও সিএসইর বেড়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দুই স্টকের এদিন (বুধবার) ৫৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর ৫৩ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং সিএসইর ৫৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর উত্থান হয়। এদিন উভয় স্টকের ৩৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর ৩২ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং সিএসইর ৩৩ দশমিক ১১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর পতন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর এ ধরনের বাড়া-কমাকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা বলে জানায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
এদিন ডিএসইতে বিমা, জ্বালানি শক্তি, পেপার এবং টেলিকমিউনিকিশন খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান হয়েছে। এদের মধ্যে বিমা খাতের ৮৯ শতাংশ, জ্বালানি শক্তি খাতের ৮৩ শতাংশ, পেপার খাতের ৬৭ শতাংশ এবং টেলিকমিউনিকিশন খাতের ৬৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান হয়েছে। এদিন সেবা আবাসন,পাট, সিমেন্ট, বিবিধ এবং খাদ্য আনুষঙ্গিক খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এদের মধ্যে সেবা আবাসন খাতের ৭৫ শতাংশ, পাট খাতের ৬৭ শতাংশ, সিমেন্ট খাতের ৫৭ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৫৭ শতাংশ এবং খাদ্য আনুষঙ্গিক খাতের ৫২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে।
পুঁজিবাজারের কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর এ ধরনের হ্রাস স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন না বিনিয়োগকারীরা। মতিঝিল এলাকার বেশকিছু সিকিউরিটিজ হাউজ ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, ডিএসইতে বুধবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৬৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৫২কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮৩টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২০৪টির, কমেছে ১২৬টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৫১টির। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৬ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে।
এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ২০ পয়েন্ট ও ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৬ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ৫৯২ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে ও ১ হাজার ৫০৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে। টাকার অংকে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ফরচুন সুজ, ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, আরএকে সিরামিক, ন্যাশনাল পলিমার, লার্ফাজ-হোল্ডসিম, ইউনিয়ন ব্যাংক, কুইন সাউর্থ।
অপর পুঁজিবাজারে বুধবার সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৪৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৭০টির, কমেছে ১০১টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩৪টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৫৬৬ দশমিক ১৬ পয়েন্টে।
এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ১ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৪৮ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ২৪ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ১ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৫১৮ দশমিক ১৫ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ৪২৫ দশমিক ১৬ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৩৫৩ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২৮০ দশমিক ৮০ পয়েন্টে। টাকার অংকে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মা, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, একমি পেস্টিসাইডস, রিং সাইন,অলিম্পিক এক্সেসরিজ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, লার্ফাজ-হোল্ডসিম, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক।