ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শখ থেকে সাফল্য

শখ থেকে সাফল্য

পাখির প্রতি ভালোবাসা ও পাখি পালনের শখ তার ছোটবেলা থেকেই। বিদেশি পাখি পালনে শখ পূরণের পাশাপাশি তার ছোট খামারে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন পাখির ঝাঁক। পিতা-মাতার উৎসাহই তার অনুপ্রেরণা। বলছি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহরিয়ার কবির বিপ্লব (২৪) এর কথা। সে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অনার্স পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থী।

জানা জায়, দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। তখন সে বাড়িতে ফিরে আসে। এ সময় তার পাখি পালনের আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। পাখি পালনের কথা ব্যবসায়ী পিতা জাহাঙ্গীর আলী গাইন ও মাতা নার্গিজ পারভীনসহ চাচা হুমায়ন কবিরকে জানালে আর্থিক সহযোগিতাসহ পাখি পালনের ব্যবস্থা করে দেন তারা।

বিপ্লব বলেন, জেনে-বুঝে পাখি পালন করতে পারলে আয়ের একটা ভালো পথ হতে পারে। তবে তিনি ব্যবসার উদ্দেশ্যে পালন করেন না। শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির বিপ্লব জানান, করোনায় ভার্সিটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তখন অনেক চিন্তা ভাবনা করে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শখ করে প্রথমে বাড়িতে খাঁচার মধ্যে ৩ জোড়া বাজরিগার ও ২ জোড়া নেদারল্যান্ডসের জেব্রা ফিঞ্চ দিয়ে পাখি পালন শুরু করি। খুব বড় পরিসরে খামার তৈরি করা সম্ভব না হওয়ায়, ছোট চালাঘরে পাখি পালতে থাকি। তারা ডিম পাড়ে ও বাচ্চা ফোটায়।

এভাবে ধীরে ধীরে এখন তার খামারে ২ প্রজাতির ৩০টি জেব্রা ফিঞ্চ ও ৪০টি বাজরিগার রয়েছে। এসব পাখিকে খাওয়ানো হয় কাউন, ধান, চীনা, সূর্যমুখী ফুলের বীজ, ক্যানারি, ব্লাক সিড ইত্যাদি। তিনি আরো জানান, আমার খামারে প্রায় ৫০ হাজার টাকার পাখি রয়েছে। যা থেকে আমি নিজের খরচ বহন করে অতিরিক্ত টাকা পরিবারে কাজে লাগাতে পারি। আমি বাজরিগার প্রতি জোড়ার মূল্য ৩০০-৪০০, জেব্রা ফিঞ্চ হয়াই ৫০০-৬০০, জেব্রা ফিঞ্চ ফন্ট ৩০০-৩৫০ টাকা বিক্রয় করি।

এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মনোজিৎ কুমার মন্ডল জানান, বর্তমান সময়ে পাখি পালনে অনেক শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেড়েছে। এটি ভালো উদ্যোগ। অনেকে বাড়িতে পাখি পালনের মাধ্যমে তারা তাদের পড়াশোনার খরচ মেটাচ্ছে। তবে খামারিদের পরামর্শ নিজেকে নিরাপদ রেখে নিয়মিত খামার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে ও প্রতিসপ্তাহে জীবাণুনাশক স্প্রে করবে। পাখি পালন করে লাভবান হতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সঙ্গে খামারিদের যোগাযোগ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন