ঢাকা | মঙ্গলবার
১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের তেল রফতানি বেড়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের তেল রফতানি বেড়েছে

পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা। এদিকে ঊর্ধ্বমুখী এ চাহিদার সুবিধা নিতে পণ্যটির রফতানি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে পণ্যটির উত্তোলন করোনা মহামারীর মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। খবর রয়টার্স।

বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান চাহিদা, সরবরাহ চেইনে সংকট, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে উত্তেজনা—সব মিলিয়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সরবরাহ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। এসব কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম বেড়ে সাত বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করছেন, অদূর ভবিষ্যতে জ্বালানিটির দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারের সীমানা ছাড়িয়ে যেতে পারে। বাজারে সংকট থাকায় অনেক বেশি ক্রেতা পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে দেশটির রফতানি বাড়ছে। বিপরীতে কমছে স্থানীয় মজুদ।

পণ্যবাহী জাহাজের তথ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রেফিনিটিভের দেয়া তথ্যমতে, আগামী মাসের জন্য বুকিং করা কার্গোগুলো চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতসহ বেশকিছু দেশের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। এ তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ও নিয়মিত অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ক্রেতা।

ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি সম্প্রতি জানায়, চলতি বছর এশিয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ৪ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চাহিদার পরিমাণ দাঁড়াতে পারে দৈনিক ৩ কোটি ৭২ লাখ ব্যারেলে। সে হিসাবে জ্বালানি পণ্যটি ব্যবহারের দিক থেকে অঞ্চলটি শীর্ষে অবস্থান করবে।

এদিকে ঊর্ধ্বমুখী রফতানির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ কমছে। চলতি বছরের শুরুতে উপসাগরীয় উপকূলে পণ্যটির মজুদ কমে ২২ কোটি ৩ লাখ টনে নেমে যায়, যা দুই বছরের সর্বনিম্ন।

তথ্য বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই নজিরবিহীন জ্বালানি সংকটের মধ্যে রয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। এ কারণে ব্লকটির বিদ্যুৎ ব্যয় বেড়ে গেছে। অঞ্চলটি লিবিয়া থেকে ব্যাপক পরিমাণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে। কিন্তু লিবিয়ায় সরবরাহ সংকট তীব্র আকার ধারণ করায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে ইউরোপ।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন