ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে আইসক্রিমের বাজার

বাড়ছে আইসক্রিমের বাজার

আইসক্রিম খেলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। এমন প্রচারণায় বিক্রিতে পূর্বের অবস্থাকেও ছাড়িয়ে গেছে আইসক্রিম। ২০২১ সালে আইসক্রিমের বাজার আগের বছরের তুলনায় ৯৩ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৪১০ কোটিতে পৌঁছেছে। ২০২০ সালে দেশের আইসক্রিমের বাজার ছিল ৭৩০ কোটি টাকার। বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৫ নাগাদ এই শিল্পের বাজার পৌঁছাতে পারে ২ হাজার ৬০০ কোটিতে। করোনার আগে ২০১৯ সালে যার বাজার ছিল এক হাজার ২৪০ কোটি টাকার।

সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলাদেশি আইসক্রিম কোম্পানিগুলো বলছে, মানুষ বুঝতে পেরেছে আইসক্রিমের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায় না, তাই এই খাত ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে এবং শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি, নগরায়ণ ও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ ও সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়নের কারণেও আইসক্রিমের বাজার বড় হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের দোকানগুলোতেও আইসক্রিম পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের আইসক্রিম শিল্পে কমপক্ষে ৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশের বাৎসরিক ৬ কোটি লিটার আইসক্রিমের চাহিদা মেটায় ইগলু, পোলার, লোভেল্লো, কোয়ালিটি, জা এন জি, ব্লুপ ও স্যাভয় ব্র্যান্ডগুলো। মোট উৎপাদনের ৩৮ শতাংশ নিয়ে দেশে আইসক্রিমের বাজারে শীর্ষে আছে ইগলু। এর পরে আছে পোলার (২৭ শতাংশ), লোভেল্লো (১৪ শতাংশ) ও কোয়ালিটি (৯ শতাংশ)। বাকি সব ব্র্যান্ড মিলে ১২ শতাংশ বাজার দখলে রেখেছে বলে জানিয়েছেন এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

দেশের উৎপাদনকারীরা প্রায় ৪০ ধরনের আইসক্রিম বিক্রি করেন, যার মধ্যে আছে স্টিক, কাপ, কোন, টাব, কেক এবং আরও অন্যান্য পণ্য। সব ধরনের আইসক্রিমের মধ্যে ভ্যানিলা স্বাদের আইসক্রিম সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। দুধ, দুধ থেকে পাওয়া ফ্যাট, ভেজিটেবল ফ্যাট ও চিনির মতো কাঁচামাল আমদানির জন্য দেশের আইসক্রিম শিল্প ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ওপর নির্ভরশীল।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন