চট্টপ্রাম বন্দর দিয়ে এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাত্র সাত লাখ টাকার পণ্য আনার কথা বলে এক কোটি টাকার পণ্য আমদানি করেছেন। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি এই পণ্য সুযোগ বুঝে খালাসের চেষ্টাও করেছিলেন ।
কিন্তু এই পণ্যের উপর কাস্টমস কর্মকর্তাদের নজরদারিতে থাকায় সব রকমের প্রক্রিয়া শেষ করার পরেও প্রায় ১০ মাস পণ্য খালাস নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। পরে কাস্টমস কর্মকর্তারা কনটেইনার খুলে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির প্রমাণ পান।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দর চত্বরে কাস্টমস কর্মকর্তারা এই কনটেইনার খোলেন। আজ বুধবার দুপুরে কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেন, নথিপত্র অনুযায়ী কনটেইনারে থাকার কথা ছিল সুইট কর্ণ এবং কিডনি বিন।
কিন্তু কনটেইনার খুলে সুইট কর্ণ পাওয়া গেছে মাত্র ৫ কেজি । আর সুইট কর্ণ এবং কিডনি বিন এর বিপরীতে চকলেট, বিস্কুট, এনার্জি ড্রিংক ও সফট ড্রিংকসহ ১১ ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে এসব পণ্যের মেয়াদও পেরিয়ে গেছে। ঘোষণার বাইরে পণ্য এনে আমদানিকারক ৮০ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেন, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর এই পণ্য চীন থেকে আমদানি করেছে গুলশানের স্টার অ্যালায়েন্স। ঐ সময় কাস্টমস হাউসে আমদানিকারক যে নথি জমা দিয়েছিলেন, তাতে আট হাজার ডলারে ১৩ টন সুইট কর্ণ এবং প্রায় তিন টন কিডনি বিন আমদানির তথ্য উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু গতকাল কনটেইনার খোলার পর চালানটিতে কিডনি বিন পাওয়া যায়নি। সুইট কর্ণ পাওয়া গেছে মাত্র পাঁচ কেজি। এই চালানটিতে ঘোষণার বাইরে কয়েকটি ব্রান্ডের ৪৭ হাজার ক্যান পাওয়া যায়। এনার্জি ড্রিংকের ক্যান পাওয়া গেছে চার হাজারের বেশি। এ ছাড়া নানা ব্র্যান্ডের বিস্কুট ও চকলেটও রয়েছে চালানটিতে।
কাস্টমস-এর উপকমিশনার নুর উদ্দিন মিলন বলেন, সাত লাখ টাকার বিপরীতে এক কোটি টাকার পণ্য আমদানি করেছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। আর বাড়তি টাকা ডলারে করে অবৈধভাবে পাচার হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। আমদানিকারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে ধ্বংস করা হবে।
আনন্দবাজার/এফআইবি