চীন ও যুক্তরাষ্ট্র মতবিরোধ সুষ্ঠুভাবে নিরসনের লক্ষ্যে ঐকমত্যে পৌঁছে গেছে। এছাড়াও চুক্তির প্রাথমিক ধাপ কার্যকরে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে চায় দু’দেশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে বেইজিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপের পর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিয়ু হি, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানিউচিন সাথে উভয় পক্ষের প্রধান উদ্বেগগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে দু’দেশের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচকদের মধ্যে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
চলতি মাসের শুরুতে একটি ফোনালাপের পর মঙ্গলবার আবারও দুদেশের শীর্ষ প্রতিনিধিদের মধ্যে এ ফোনালাপ হয়। প্রথম ফোনালাপও ‘গঠনমূলক’ কিছু ছিল বলে দাবি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।
গত সপ্তাহে চীনের প্রধান বাণিজ্য আলোচক লিয়ু হি জানান, বাণিজ্য চুক্তির প্রথম দফার ব্যাপারে আমি ‘সতর্কতার সঙ্গে আশাবাদী’। নির্দিষ্ট সময়সীমা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন মন্তব্য এবং ইস্যুতে অনেকেই হয়তো মনে করছেন বাণিজ্য আলোচনা পরবর্তী বছরে গিয়ে ঠেকতে পারে।
গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুদেশের প্রতিনিধির মঙ্গলবারের ফোনালাপে শুল্ক প্রত্যাহার, কৃষিপণ্য ক্রয় ও সম্ভাব্য চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া মূল্যায়নের ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছেন । তবে তা সমতাপূর্ণ চুক্তি হবে কিনা সে ব্যাপারে তিনি সন্দিহান রয়েছে। এর কারণ যুক্তরাষ্ট্র যখন ফ্লোর থেকে শুরু করছে চীন তখন সিলিংয়ে পৌঁছে গেছে।
আনন্দবাজার /এম.কে