চা পানে শরীরে আসে সতেজভাব। কিন্তু সব চা বয়সের ছাপ ধীর করতে পারে না। ধরন অনুযায়ী চায়ের উপকারিতাও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পানীয় বয়স্ক হওয়ার বিরুদ্ধে লড়তে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধরনের পানীয়র মধ্যে রয়েছে গ্রিন টি।
যুক্তরাষ্ট্রের শরীরচর্চা ও রূপ-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘টোটাল শেইপ’য়ের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা, পুষ্টিবিদ ও প্রশিক্ষক মাইকেল গ্যারিকো ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেছেন, গ্রিন টি’তে আছে ‘এপিগ্যালোক্যাটেচিন গ্যালেট’ নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের মৃতপ্রায় কোষকে পুনুরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করে।
তিনি বলেন, এই পানীয়তে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং ই। যা ত্বকের সুস্থতার জন্য উপকারী। ভিটামিন বি-২ ত্বককে সতেজ রাখে ও তারুণ্য ফুটিয়ে তোলে। ভিটামিন ই ত্বকের নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। আর মসৃণতা বাড়ানোর পাশাপাশি উজ্জ্বলভাব ফুটিয়ে তোলে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ট্রিস্টা বেস্ট’য়ের মতে, বয়স্কভাব রোধের জন্য সেরা পছন্দ হতে পারে গ্রিন টি।
তিনি জানান, গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আর নানান স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দুর্বলতা কাটানো, প্রদাহ এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি সার্বিক সুস্থতার ওপর প্রভাব রাখে।
তিনি আরও জানান, এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো উন্মুক্ত রেডিকেলের কারণে হওয়া কোষের ক্ষয় কমায় যা বিপাক ধীর হওয়ার জন্য দায়ী। ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও অ্যামিনো অ্যাসিডের ভেষজ পানীয় হিসেবে গ্রিন টি পান করা যায়।
গ্রিন টি’কে বয়স ধীর করার ভালো উপায় বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক পুষ্টিবিদ জুলিয়ানা টামায়ো।
ইট দিস, নট দ্যাট’কে তিনি জানান, গ্রিন টি ‘নিউরোপ্রোটেক্টিভ’ উপাদান হিসেবে কাজ করে যা জ্ঞানীয় ক্ষয় কমাতে সহায়তা করে এবং বার্ধক্যজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়।
কিন্তু পুষ্টিবিদ গ্যারিকো সতর্ক করে দিয়ে বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় উচ্চ মাত্রায় গ্রিন টি পান করা ক্ষতিকর হতে পারে। এর ফলে মাথা ব্যথা, বমিভাব, ঘুমের সমস্যা, বমি, ডায়ারিয়া, অস্বস্তি, অনিয়ন্ত্রিত হৃদগতি, কাঁপুনি, বুক জ্বালা, মাথা ঘোরানো, কানে শব্দ হওয়া ইত্যাদি হতে পার।
আনন্দবাজার/ টি এস পি