মঙ্গলগ্রহে প্রাণের খোঁজের পাশাপাশি এবার মঙ্গলের শিলাখণ্ড পৃথিবীতে এনে গবেষণা করতে চায় মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। স্বাভাবিকভাবে কাজটি সহজ মনে হলেও এই প্রক্রিয়া অনেক কঠিন ও জটিল, সর্বোপরি ব্যয়বহুল।
চারটি ধাপের এ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজন হবে কয়েকটি মহাকাশযান। ধারনা করা হচ্ছে, গবেষণার জন্য বিস্ফোরণও ঘটাতে হবে মহাকাশে।
বিশাল এ প্রক্রিয়ায় এবার ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সহযোগিতা চায় নাসা। চলতি সপ্তাহেই সংস্থাটির সদস্যরা বৈঠক করে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।
নাসার ‘মার্স স্যাম্পল রিটার্ন’ টিমের সদস্য সঞ্জয় বিজেন্দ্রন বলেন, অভিযানের প্রথম ধাপে নাসার ‘মার্স-২০২০’ রোভার কাজ করবে।
২০২১ সালে মঙ্গলগ্রহের জেজেরো গহ্বরে অবতরণের কথা রয়েছে রোভারটির। এটি মঙ্গলপৃষ্ঠের নমুনা সংগ্রহ করে একটি ধাতব টিউবে ভরে সেটিকে সিল করে দেবে। মঙ্গলপৃষ্ঠের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় টিউবটি রেখে দেয়া হবে।
এর পরের পর্যায়ে এসা ‘ফেচ রোভার’ নামে একটি যান পাঠানো হবে। যেটি টিউবকে ক্যানিস্টারে বন্দি করে রাখবে। এরপর মার্কিন একটি রকেট বিস্ফোরণ ঘটাবে, যাতে মহাকাশে ছিটকে পড়ে ক্যানিস্টারটি।
পরের ধাপে মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করতে থাকা একটি মহাকাশযান ক্যানিস্টারটিকে সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠানো হবে, যা প্যারাসুটে করে উটাহের মরুভূমিতে নেমে আসবে।
আনন্দবাজার/একে