বছরের বার মাসই এখন হাটে বাজারে আগাম লাউ পাওয়া যাচ্ছে। লাউয়ের বাজার দর ভালো পাওয়ায় দেশি ও হাইব্রিড জাতের আগাম লাউ চাষে ঝুঁকছেন সবজি চাষিরা। তবে শীতকালীন সবজি হিসেবে লাউয়ের চাহিদা থাকে সর্বখানে। তাই মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিস্তীর্ণ আড়িয়াল বিল পাড়সহ বিভিন্ন স্থানে আগাম লাউ চাষে আর্থিকভাবে আগাম এসব লাউ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। পুষ্টিগুণেভরা সু-স্বাদু বিষমুক্ত এসব লাউ স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি হাটবাজারে।
সরেজমিন দেখা যায়, বিখ্যাত আড়িয়াল বিলের বিভিন্ন ভিটায় শীতকালীন বিভিন্ন সবজির পাশাপাশি ব্যাপক লাউয়ের আবাদ করা হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন জমিতে ও বাড়ির আঙ্গিনায় লাউয়ের বাগান করা হয়েছে। এসব বাগানে বিভিন্ন জাতের অসংখ্য লাউয়ের বাম্পার ফলন হযেছে। স্থানীয় বাজারে লাউয়ের আমদানি বাড়ায় বড় আকারের একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে।
উপজেলার কুকুটিয়ার আরাফাত রহমান শিমুল নামে এক তরুণ উদ্যোক্তা বলেন, প্রথমবারের মত প্রায় ৭০ শতাংশ জমিতে আগাম লাউয়ের চাষ শুরু করেন। তার বাগানজুড়ে অসংখ্য লাউ উৎপাদন হচ্ছে। শীত আসার আগে বাগানের প্রতিটি আগাম লাউ বিক্রি করেন ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। বাজারে আমদানি বাড়ায় লাউয়ের দাম এখন কিছুটা কমেছে। বর্তমান বাজার অনুযায়ী সবজি পাইকারদের কাছে প্রতি পিস লাউ বিক্রি করছেন ২০ থেকে ২৫ টাকায়। বাগান থেকে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার লাউ বিক্রি হয়েছে। আগাম লাউ চাষে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার শান্তনা রানী জানান, আগাম লাউ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আগাম লাউ চাষে আগ্রহী কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হয়।
আনন্দবাজার/এম.আর




