শীতের মৌসুমে সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও এখনো চড়া । সপ্তাহের বাজারে করলা-বরবটি এখনো বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। এছাড়া অন্য সব সবজিই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি প্রায় ৫০ টাকায়। বাজারে এসে দাম দেখে ক্রেতার জিজ্ঞেস করছেন, সবজির দাম আর কবে কমবে?
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখনও প্রতিটি সবজিই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি থাকার পরও সবজি কেন এত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে? এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বিক্রেতারা। তারা বলছেন, পাইকারি বাজারে বেশি দামে কেনা পড়ছে, তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এছাড়া পরিবহন ভাড়া বেশি হওয়ায় দাম বাড়তি যাচ্ছে।
বাজারে দেশি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়। সিম মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাঁজর ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মূলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, করলা ছোটগুলো ৮০ টাকা, বড় করলা হাইব্রিড ৬০ টাকা, বরবটি ছোট লালটা ৫০ টাকা, শালগম ৪০ টাকায়, খিরা ৪০ টাকা, বরবটি সবুজটা ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও মাঝারি ধরনের ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, ফুলকা (পিয়াজের ফুল) ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি আটি, বাঁধাকপি মাঝারি সাইজের প্রতি পিস ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
নতুন পেয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও, আগের ভালো মানের পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়।
বাজারে ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়। এক কেজি বয়লার মুরগির দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। কক মুরগি ২৪০ টাকায়, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি। এই মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়।
পাশাপাশি আজকের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়। আর খাসির দাম ৮৫০ টাকা।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে গুলশান সংলগ্ন কাঁচাবাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী নাজমুল হাসানা প্রান্ত। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, শীত চলে এসেছে কিন্তু বাজারে সবজির দাম এখনো কমেনি। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা সবজি কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে। মাছ মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম না হয় বাদই দিলাম। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে শীত চলে আসার পরও সবজির দাম বেশি।
আনন্দবাজার/এম.আর