বিশ্ববাজারে কমতে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চিনির দাম। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে শুক্রবার সর্বনিম্ন দামে নেমে যায় অপরিশোধিত চিনির দাম। করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন দেখা দেওয়ায় ভোগ্যপণ্যটির দাম কমেছে এমনটা ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা । তবে দেশের বাজারে চিনির দাম বেড়েই চলেছে।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে চিনির দাম কমেছে দশমিক ২৯ সেন্ট বা ১ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রতি পাউন্ডের মূল্য স্থির হয়েছে ১৯ দশমিক ১১ সেন্ট, যা ৬ ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন। অন্যদিকে মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে সাদা চিনির দাম কমেছে টনপ্রতি ৬ ডলার ৪০ সেন্ট বা ১ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৪৯৮ ডলারে।
ডিলাররা বলছেন, বর্তমানে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার পরিস্থিতিকে অনুসরণ করেই এগোচ্ছে চিনির বিশ্ববাজার। সর্বশেষ গত শুক্রবার ওমিক্রনের উদ্বেগে জ্বালানি পণ্যটির দাম ব্যারেলপ্রতি ১ ডলারেরও বেশি কমেছে। বর্তমানে চিনির দাম ১৮ দশমিক ৫০ থেকে ২০ দশমিক ৫০ সেন্টের মধ্যেই ওঠানামা করছে।
বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদক ব্রাজিল। দেশটিতে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে চিনি উৎপাদন কমতির দিকে। অন্যদিকে দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ ভারতে রফতানিতে শ্লথগতি দেখা দিয়েছে। এতে ভোগ্যপণ্যটির দাম আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ওমিক্রন আতঙ্কে মূল্যবৃদ্ধিতে ছেদ পড়েছে।
আনন্দবাজার/এম.আর