বাণিজ্যের বাড়ালে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশ থেকে ৭ লাখ ১১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা (৮২ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) পাচার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতি বছর পাচারের এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে গড়ে ৮ দশমিক ২৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এ অর্থ দিয়ে দুটো পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হতো। কর ফাঁকি দিতে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির মূল্য বেশি দেখিয়ে (ওভার ইনভয়েসিং) এবং রপ্তানিতে মূল্য কম দেখানোর (আন্ডার ইনভয়েসিং) মাধ্যমে এ অর্থ পাচার করা হয়েছে।
আর বিশ্বের উন্নয়নশীল ১৩৪টি দেশ থেকে বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচারের পরিমাণ হচ্ছে এক দশমিক ছয় ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি (১ ট্রিলিয়নে ১ লাখ কোটি) ডলার। জিএফআই প্রতিবেদনে বলেছে, সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার করা হয়েছে চীন থেকে। এরপরই আছে পোল্যান্ড, ভারত, রাশিয়া ও মালয়েশিয়া।
১৩৪টি উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশের ১০ বছরের (২০০৯-২০১৮) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মূল্য ঘোষণার গরমিল দেখিয়ে কীভাবে দেশ থেকে অর্থ পাচার হয় জিএফআই প্রতিবেদনে সেই চিত্রই তুলে ধরেছে। এর পাশাপাশি ৩৬টি উন্নত দেশের সঙ্গে তুলনামূলক চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে।
তবে ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৮৭ কোটি ১০ লাখ ডলার পাচার হয়েছে। ২০০৯ সালে যার পরিমাণ ছিল ৫২১ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ ছাড়া ২০১০ সালে ৬৮৪ কোটি ডলার, ২০১১ সালে ৮৭৩ কোটি ডলার, ২০১২ সালে ৭৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার ও ২০১৩ সালে ৯৩৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার পাচার করা হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/এম.আর