সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে। এরই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হচ্ছে দেশটির বেশ কিছু বায়োটেক, নজরদারি প্রযুক্তি কোম্পানি এবং সরকারি সংস্থা।
বৃহস্পতিবার বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞা বলে চীনের একাডেমি অব মিলিটারি মেডিকেল সায়েন্সেস ও দেশটির বায়োটেকনোলজি প্রস্তুতকারী ১১টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাছে মার্কিন সংস্থাগুলোকে পণ্য বিক্রি করতে বাধা দেবে।
প্রশাসন জানায়, উইঘুরদের নিপীড়নের জন্য চীন বায়োটেকনোলজি ব্যবহার করছে। যদিও চীন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করছে। তাদের ভাষ্যে, উইঘুরদের বিরুদ্ধে যেকোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্দেশ্য হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করা।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো এক বিবৃতিতে জানান, বায়োটেকনোলজি ও চিকিৎসা উদ্ভাবনের বৈজ্ঞানিক সাধনা জীবন বাঁচাতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত পিআরসি (পিপলস রিপাবলিক অব চায়না) এই প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করা বেছে নিচ্ছে তার জনগণের ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের দমনের জন্য। চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং জৈব প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার বিপরীতে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন পণ্য, প্রযুক্তি ও সফটওয়্যারকে আমরা অনুমতি দিতে পারি না।
আনন্দবাজার/ টি এস পি