ঢাকা | রবিবার
২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ থেকে ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাজধানীসহ দেশের ছয় জায়গায় আজ রবিবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই সুবিধা চালু করবে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর সংস্থা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড।

গতকাল শনিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি চালু হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, রাজধানীর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর, বাংলাদেশ সচিবালয়, সংসদ ভবন, সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও টুঙ্গিপাড়া এই ছয় জায়গা ফাইভ-জি কভারেজের আওতায় আসছে। পরবর্তী সময়ে ঢাকা শহরের ২০০টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ প্রযুক্তি সেবা চালু করবে টেলিটক। এবং আগামী বছরের মার্চে বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ নিলামে দেওয়ার পর বেসরকারি তিনটি মোবাইল অপারেটর এই প্রযুক্তি চালু করবে। টেলিটক ও বিটিসিএলের মাধ্যমে ২০২২ সালের পর দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল বিশেষ করে স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোতে এই সেবা চালু করার প্রস্তুতির কাজ চলছে।

মোস্তাফা জব্বার জানান, ২০২০ সালে বিশ্বের ৬/৭টি দেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে সক্ষম হয়। মালয়েশিয়া আগামী মার্চে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি চালু করতে যাচ্ছে। আমাদের জন্য অহংকারের বিষয় হচ্ছে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনো ফাইভ-জি যুগে যেতে পারেনি, আমরা যাচ্ছি।

ফাইভ-জি প্রযুক্তি সেবা গ্রাহকদের জন্য শুধুমাত্র মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ভয়েস কলের প্রযুক্তি নয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংকস), রোবোটিক্স, বিগডাটা, ব্লকচেইন, হিউম্যান টু মেশিন, মেশিন টু মেশিন ইত্যাদি প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ক্রিটিক্যাল মিশন সার্ভিস, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট সিটি, স্মার্ট হোম, স্মার্ট ফ্যাক্টরি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।

আনন্দবাজার/ টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন