ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুরে পাতা পেঁয়াজের দামও ঊর্ধ্বমুখী

বাজারে বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই শীতের সবজি উঠলেও রংপুর নগরীর সিটি বাজারে এসব সবজির দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। তাই ব্যাগ ভরে সবজি কিনতে ব্যর্থ নিম্ন আয়ের মানুষেরা। বাজারে পাতাসহ পিয়াজ উঠলেও দামের ঝাঁজ এখনও কমেনি।

রংপুর নগরের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার “সিটি বাজার” যেখানে পাইকারি ও খুচরা-দু’ভাবেই পণ্য বিক্রি হয়। শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রাতাদের সাথে কথা বলে বিভিন্ন পণ্যের দর-দাম জানা যায়। যেখানে দাম নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতারা দুই ধরনের কথা বলছেন।

ক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে শীতের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার সত্বেও চড়া দামে সবজি বিক্রি হওয়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রংপুর বিভাগীয় শহর দিন দিন মানুষ বেড়েই চলেছে। এতে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সবজির সরবরাহ করতে পাড়ছেনা। আর এ কারণে দাম বেশি।

রংপুর শহরের বাজার ঘুরে জানা যায়, খুচরা বাজারে নতুন পাতা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা কেজি। আর পুরানো পিয়াজ প্রকার ভেদে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়। ৬০-৬৫ টাকা কেজি দর বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

নতুন আলু বাজারে এখনোও আসেনি। তাই পুরোনো আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। এছাড়া ফুলকপি ৫৫-৬০, মুলা ৩০, বেগুন ৩৫, পটোল ৩৮, শিম ৪০-৪৫, টমেটো ১৩০-১৩৫, পালংশাক ২৫ ও ধনেপাতা ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি বাজারে এ সকল সবজি গড়ে ১০ টাকা কম দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এখানে একসঙ্গে কমপক্ষে আড়াই কেজি নিতে হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্রেতা একসঙ্গে এত সবজি নিতে চান না বলে খুচরা বাজার থেকে কেনাকাটা করেন।

ক্রেতা রাজু আহমেদ বলেন, পাঁচ দিন আগেও বাজারে এসব সবজির দাম যা ছিল, সে অনুযায়ী কোনো সবজির দামই কমেনি। অথচ বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজির আদমানি। কেন যে কমছে না, তা বুঝতে পারছি না।

বিক্রেতা এনামুল হক বলেন, পাইকারি বাজার থেকে কিনে এনে সামান্য লাভ হয়। বাজারে শীতের সবজি এখনো সেভাবে আসেনি। তাই দাম হয়তো কিছু বেশি। তবে আশা করা যায়, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে বাজারে সবজির দাম কমে যাবে।

তবে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সরওয়ারুল হক জানান, বৃষ্টিতে রংপুর অঞ্চলে সবজি খেত তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এখন আগাম আবাদের সবজি উঠেছে। পুরোদমে সবজি নামতে একটু সময় লাগবে। তবে সবজির দাম কিছু দিনের মধ্যে কমে যাবে।

 

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন