ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চরাঞ্চলে বাদাম চাষে নতুন স্বপ্ন

চরাঞ্চলে বাদাম চাষে নতুন স্বপ্ন
  • লাভ বেশি, খরচ কম
  • চাষীরা পাচ্ছেন প্রশিক্ষণ

গাইবান্ধার চরাঞ্চলে বাদামের ফলন ভালো হয়েছে। কম খরচে ও লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। এদিকে স্থানীয় কৃষিবিভাগ বলছে, বাদাম চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, উন্নতবীজ ও প্রদশর্নীসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রবি মৌসুমে ৬৬০ হেক্টর জমিতে এবং খরিপ মৌসুমে ২০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী মোল্লার চর, কামারজানি, সুন্দরগঞ্জের চর কাপাসিয়া, সোনারায়, ফুলছড়ির জিগাবাড়ি, হরিচন্ডি, পাগলারচর, সন্যাসীর চর, বুলবুলির চরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে চিনা বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। স্বল্পসময়ে কম খরচে অধিক লাভ পাওয়ায় চরাঞ্চলে বাড়ছে বাদামের চাষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, লতানো বাদাম গাছে চরের সাদাবালুর জমি সবুজে ভরে আছে। কোথাও কোথাও চলছে আগাম বাদাম তোলার কাজ। বাদাম গাছ ধরে টান দিলেই উঠে আসছে থোকা থোকা সোনালি রঙের বাদাম। প্রতিবিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ করে বাদাম উৎপাদন হয় ২০ থেকে ২৪ মন। এতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকের বিঘাপ্রতি লাভ হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।

গাইবান্ধার সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের মন্টু মিয়া বলেন, লাভ বেশি হওয়ায়, বাদাম চাষে আগ্রহী করতে চরের বিভিন্ন এলাকায় দেওয়া হচ্ছে উন্নত প্রশিক্ষণ। সেই সঙ্গে বিনামূল্য বীজ সরবারহ, প্রদশর্নীসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে। বাদাম রোপনের পর অন্যান্য ফসলের মতো পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। রাসায়নিক সারও ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। এ জন্য ধান ও অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে বাদাম চাষে ঝুঁকছে চাষিরা।

সদর উপজেলার মোল্লার চর ইউনিয়নের মামুন মিয়া বলেন, চলতি বছর চরের সাত বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ৫ হাজার টাকা খরচ করে গড়ে ২০ মণ বাদাম পাই। আর্থিকভাবে লাভবান হবো মনে হচ্ছে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় রবি মৌসুমে ৬৬০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। এখন প্রতিকেজি কাঁচা বাদাম বিক্রি হচ্ছে ১১৭ টাকা দরে। আগামীতে এক হাজার হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার/এম.আর

সংবাদটি শেয়ার করুন