এবছর নির্ধারিত সময় ই-টিআইএনধারীর মাত্র ২৭ শতাংশ আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। যদিও রিটার্ন দাখিলের শেষ মুহূর্তে (৩০ নভেম্বর রাতে) আরও একমাস সময় বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান করবর্ষের রিটার্ন দাখিল করা যাবে।
এনবিআরের হিসাব মতে, সারাদেশে ১৮.৫৫ লাখ ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ২ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা আয়কর পেয়েছে এনবিআর। তবে, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা ৬৮ লাখ ছাড়িয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দিতে না পারায় অতিরিক্ত সময়ের আবেদন করেছেন ১. ৫৫ লাখ করদাতা।
এনবিআর বলছে, গত করবর্ষের একই সময়ে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৪৮ হাজার। গতবছরের তুলনায় একই সময়ে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বেড়েছে ৬ শতাংশেরও বেশি।
এনবিআরের আয়কর বিভাগের একজন সদস্য বলেন, "সময় বৃদ্ধির কারণে চূড়ান্ত হিসাব এখনই বলা যাবে না আশা করছি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়বে।"
আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ লাখের বেশি করদাতা রিটার্ন দাখিল করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ওই কর্মকর্তা।
এনবিআর থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের ৩১টি কর অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন জমা পড়েছে খুলনার কর অঞ্চলে। এখানে ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৮৭ জন করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন, যেখানে কর আহরণ হয়েছে ৬৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে, সবচেয়ে কম ২৩৩টি রিটার্ন দাখিল হয়েছে ঢাকার বৃহৎ করদাতা ইউনিটে। যার বিপরীতে কর এসেছে ১০৫ কোটি ৫ লাখ টাকা।
এনবিআরের নতুন ডিজিটাল প্লাটফর্ম ই-রিটার্নে বেশ ভালো সাড়া মিলেছে। অক্টোবর মাসে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া অনলাইন মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন। নিবন্ধন নিয়েছেন ৯০ হাজার করদাতা।
আনন্দবাজার/শহক