এবি ব্যাংকের নোয়াখালীর চৌমুহনী শাখার সাবেক ও বর্তমান চার কর্মকর্তার নামে দুর্নীতির মামলা নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
নোয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ নির্দেশ দেয়।
নাসির ছাড়াও অন্য তিনজন হলেন চৌমুহনী শাখার বর্তমান ম্যানেজার তপন কান্তি পোদ্দার, সাবেক এসপিও মো. নাজিম উদ্দিন ও মো. হানিফ।
এক গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা স্থানান্তরে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমানকে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতেও বলেছে আদালত।
গত ২৬ অক্টোবর এক গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা স্থানান্তরে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় তার ব্যাখ্যা দিতে দুদক নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমানকে তলব করে হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে বুধবার হাজির হন তিনি।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, মশিউর রহমান দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে এবি ব্যাংক চৌমুহনী শাখার গ্রাহক আবদুল মমিনের ৩ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ৪০০ টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে বেআইনিভাবে স্থানান্তর করে আত্মসাতের প্রমাণ পান। এর পরও ব্যাংকের কর্মকর্তা ওই শাখার সাবেক ম্যানেজার নাসির উদ্দিন আহমেদ, ম্যানেজার তপন কান্তি পোদ্দার, সাবেক এসপিও মো. নাজিম উদ্দিন ও মো. হানিফের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে গ্রাহক আবদুল মমিন বিশেষ জজ আদালত, নোয়াখালীতে মামলা করতে গেলেও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা লিখিত আপত্তি জমা দেন। এ কারণে গ্রাহক আব্দুল মোমিন হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন।
আনন্দবাজার/শহক