দাম বেঁধে দেওয়ার পরেও বেশিরভাগ বাজারেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারিত দরের চেয়ে ৫ থেকে ৯ টাকা বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে চিনির দর বাড়তি।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ৭৮ থেকে ৮৪ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত চিনি কেজিপ্রতি ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে রাজধানীর মাটিকাটা এলাকার সাজ্জাদ হোসেন জানান, ৭৪ টাকার চিনি এখন ৮৪ টাকা দিয়ে কেন কিনতে হবে? বিষয়টা বুঝলাম না। এইভাবে দাম কেন বাড়ছে?
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতি কেজি খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭৪ টাকা ও প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশন।
তবে রাজধানীর বেশিরভাগ জায়গায় বেঁধে দেওয়া এই দামে মিলছে না চিনি। চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার আমদানি পর্যায়ে শুল্ক সুবিধাও দিয়েছে। তবে ভোক্তারা এই শুল্ক সুবিধারও সুফল পাচ্ছেন না।
গতকাল বৃহস্পতিবার টিসিবি বাজারদরের যে তথ্য প্রকাশ করেছে সে অনুসারে, ঢাকায় প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি।
খোলা চিনি আর প্যাকেটজাত চিনির দর এখন একই বলে জানিয়েছেন ভাষাণটেক এলাকার পাইকারি বিক্রেতা আনোয়ার মিয়া। তিনি বলেন, পাইকারদের থেকে খোলা চিনি কিনে আনার পর হিসাব করলে দেখা যায়, পরিবহন খরচসহ প্রতি কেজি চিনির দর ৭৯ থেকে ৮০ টাকা পড়ে যায়। তাই ৮০ টাকার বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
আনন্দবাজার/ টি এস পি