ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাল রফতানিতে অবস্থান দৃঢ় করছে কম্বোডিয়া

কম্বোডিয়া দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। আমদানি-রপ্তানি, ও ব্যবসা-বাণিজ্যে এশিয়ার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে দেশটি। চাল রফতানিতে নিজের অবস্থান প্রতিনিয়ত দৃঢ় করে চলেছে কম্বোডিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সাল নাগাদ ১০ লাখ টন চাল রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশটির সরকার। কম্বোডিয়া রাইস ফেডারেশনের (সিআরএফ) পক্ষ থেকে সম্প্রতি এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর নম পেন পোস্ট।

সিআরএফের সভাপতি সং সরণ বলেন, ২০২২ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি রাজ্যটির চাল রফতানি বাড়িয়ে ১০ লাখ টনে উন্নীত করার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। লক্ষ্য পূরণে তারা আমদানিকারক দেশগুলোকে আকৃষ্ট করতে কৃষিপণ্যটির ক্রয়ের ওপর বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রেখেছে।

তিনি বলেন, চাল রফতানি বাড়াতে কম্বোডিয়া চীনের দিকে বিশেষ নজর দেবে। মোট রফতানীকৃত চালের ৩৫ শতাংশ বেইজিং, ৩০ শতাংশ ইউরোপ ও এশিয়ার অন্যান্য দেশ এবং ৫ শতাংশ বাকি দেশগুলোয় রফতানির প্রত্যাশা করছে দেশটি।

সিআরএফের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) রাজ্যটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮৬ টন চাল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০১৮ সালের প্রথম নয় মাসে দেশটি মোট ৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৬৪ টন চাল রফতানি করেছিল।

তবে বছরের তিন প্রান্তিক ধরে ইউরোপে চাল রফতানিতে টানা মন্দা ভাব বজায় থাকলেও চলতি প্রান্তিকে এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সিআরএফের সভাপতি। সম্প্রতি কম্বোডিয়ার চালের প্রচারে প্রতিষ্ঠানটির একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ ইউরোপ সফর করেছে।

অবশ্য এটাই দেশটির চাল রফতানি বৃদ্ধির প্রথম উদ্যোগ নয়। এর আগে ২০১০ সালের আগস্টে দেশটির সরকার ২০১৫ সাল নাগাদ ১০ লাখ টন চাল রফতানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে ওই সময় প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয় দেশটি।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন