নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়তে যাচ্ছেন কফিপ্রেমীরা। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রকট হচ্ছে কফি বিন সংকট। সরবরাহ কমতে থাকায় এরই মধ্যে ক্যাফে ও সুপারমার্কেটগুলোয় মূল্যবৃদ্ধির হুমকি তৈরি করেছে। ফলে স্বস্তির বদলে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে জনপ্রিয় পানীয় পণ্যটি।
বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের কফির মধ্যে সবচেয়ে মসৃণতম স্বাদের কফি অ্যারাবিকা। বৈশ্বিক কফি উৎপাদনের ৬০ শতাংশই পূরণ করে এটি। বর্তমানে এ কফির ঘাটতি সবচেয়ে বেশি। চলতি বছর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিশ্বের প্রধান উৎপাদক দেশগুলোয় কফির ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে পঙ্গু হয়ে পড়েছে সরবরাহ। লা নিনার কারণে আগামী বছর উৎপাদন আরো ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী কয়েক বছরেও এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অ্যারাবিকা কফির ঊর্ধ্বমুখী দাম সংকটের তীব্রতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বৈশ্বিক জাহাজীকরণ প্রতিবন্ধকতা এ পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলছে। ফলে যেসব দেশে চাহিদা রয়েছে সেসব দেশে কফি সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়েছে।
এছাড়া বর্তমান বাজারে যে সংকট চলছে তার সূত্রপাত ব্রাজিলে। বিশ্বজুড়ে অ্যারাবিকা কফির শীর্ষ সরবরাহকারী দেশ এটি। চলতি বছর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ খরা ও তুষারপাতের কবলে পড়ে লাতিন আমেরিকার এ দেশ। বিপর্যয় নামে কফি উৎপাদনে। বর্তমান উৎপাদন নিয়েই শুধু নয়, ভবিষ্যৎ উৎপাদন নিয়েও উদ্বেগ চরম আকার ধারণ করেছে। উৎপাদকরা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কফি গাছ সরিয়ে নিচ্ছেন। এতে নতুন করে রোপণ করা গাছগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এসব গাছের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর বাইরে ঊর্ধ্বমুখী সারের দাম ও শ্রমিক সংকটের কারণেও উৎপাদকরা হিমশিম খাচ্ছেন।
আনন্দবাজার/শহক