এবার বিনা শর্তেই আফ্রিকায় বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন টেকসই ঋণ ছাড়াই কোনো বিনিয়োগের এ বার্তা দিলেন। সেনেগালের রাজধানী ডাকারে দেশটির সরকারের সাথে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
এই চুক্তির আওতায় সেনেগাল ও যুক্তরাষ্ট্রের চারটি কোম্পানি আফ্রিকার অবকাঠামো, যোগাযোগ ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করবে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার নাইজেরিয়া সফরকালে ব্লিঙ্কেন বলেন, আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো প্রায়ই অস্বচ্ছ ও জবরদস্তিমূলক ছিল।
তিনি আরও বলেন, দেশকে এমন ঋণে জর্জরিত না করে যা তারা পরিচালনা করতে পারে না, সেভাবেই বিনিয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী মালির স্থিতিশীলতার জন্য তার গভীর উদ্বেগ রয়েছে, যেখানে গত ১৮ মাসে দেশটি দুটি অভ্যুত্থানের ঘটনা দেখেছে এবং অবশ্যই তাদের নির্বাচনী সময় মেনে চলার দরকার।
এবার বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের কাছে আফ্রিকা বিনিয়োগের একটি টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে আফ্রিকার পছন্দের অংশীদারে নিজেকে পরিণত করেছে চীন। চীনের প্রতি আফ্রিকানদের আগ্রহী হয়ে ওঠার পেছনে মূলত চারটি কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে শর্তহীন ঋণ প্রদান, দ্রুত সেবা ও সস্তায় পণ্য প্রদান, শান্তিরক্ষায় ভূমিকা পালন এবং বিকল্প উন্নয়ন মডেল। এবার সে পথে যুক্তরাষ্ট্রও হাটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আফ্রিকায় এই বড় বিনিয়োগ থেকে পিছিয়ে নেই জাপানও।
আনন্দবাজার/ টি এস পি