খাবারে স্বাদ বাড়াতে ঘিয়ের তুলনা হয় না। পাশাপাশি সৌন্দর্য বাড়াতেও সহায়তা করে ঘি। এছাড়া বিভিন্ন রোগের উপশমও করে ঘি। চলুন জেনে নিই ঘিয়ের ঔষধি গুণাগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
পেটের মেদ কমাতে
ঘিতে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড, যা ফ্যাটকে একত্রিত করতে এবং ফ্যাট কোষগুলোকে আকারে সংকুচিত করতে সহায়তা করে। এতে থাকা ওমেগা -৩ এবং ওমেগা -৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি শরীরের মেদ ঝরিয়ে দিতে সহায়তা করে।
শুকনো ঠোঁটের জন্য
ঘুমাতে যাওয়ার আগে অল্প একটু ঘি গরম করে আপনার ঠোঁটে লাগান। ঘুম থেকে ওঠার পরে ঠোঁটে শুকনো ফ্লেক্স দেখতে পাবেন সেগুলো স্ক্রাব করুন। নিয়মত এটি করার ফলে আপনি পাবেন নরম এবং কোমল ঠোঁট।
হজমের জন্য
ডাক্তার বসন্ত লাডের ‘দ্য কমপ্লিট বুক অফ হোম রেমিডিজ’ বই অনুযায়ী, ঘুমানোর সময় এক কাপ গরম দুধে এক বা দুই চামচ ঘি খাওয়া ভালো। যা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূরে রাখতে বেশ কার্যকরী। গবেষণা অনুযায়ী, হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে এবং শোষণ ও আত্তীকরণকে উন্নত করে ঘি।
ঠাণ্ডার সমস্যায়
কয়েক ফোটা উষ্ণ খাঁটি ঘি নাকের মধ্যে নিলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। রোগের সংক্রমণ দূর রাখে ঘি। কিত্নু ঘি হালকা গরম তাপমাত্রায় গরম করে ব্যবহার করুন।
ত্বকের জন্য
ঘিতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা আপনার নিস্তেজ ত্বকে আদ্রতা ফিরিয়ে আসতে সহায়তা করে। সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী ঘি। নরম এবং কোমল ত্বক পেতে নিয়মিত ঘি ব্যবহার করুন।
আনন্দবাজার/ টি এস পি