জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিক্ষোভে ইরানে ১০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আলজাজিরা জানায়, শুক্রবার কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ পেট্রলের দাম বাড়ানোয় বিক্ষোভে নামে ইরানের সাধারণ মানুষ। একপর্যায়ে এই বিক্ষোভ সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, বিক্ষোভ দমনে ‘অতিরিক্ত ও প্রাণঘাতী শক্তি’ প্রয়োগ করেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী।
অ্যামনেস্টির দাবি, ২১টি শহরে ছড়িয়ে পড়া এই বিক্ষোভে অন্তত ১০৬ জন নিহত হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তারা জানিয়েছে। কিছু প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভ দমনে নিহত হয়েছে অন্তত ২০০ জন।
অ্যামনেস্টির এই বিবৃতি নিয়ে ইরান সরকার এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এদিকে আলজাজিরার পরিসংখ্যান মতে, বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা অন্তত ১১ জন, যার মধ্যে ৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, বাকি ছয়জন বেসামরিক নাগরিক।
প্রসঙ্গত, পেট্রল থেকে ভর্তুকি উঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর পেট্রলের দাম অন্তত শতকরা ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে ইরানে। কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা দরিদ্রদের জন্য অর্থ বরাদ্দ করার পরিকল্পনা থেকে পেট্রলের দাম বাড়িয়েছে।
২০১৫ সালে ওয়াশিংটন পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর থেকে অর্থনৈতিকভাবে বেশ ভুগতে হচ্ছে দেশটিকে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস