ঢাকা | মঙ্গলবার
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিতর্কিত জেএমআই হসপিটালকে বিডিং অনুমোদন বিএসইসির

বিতর্কিত জেএমআই হসপিটালকে বিডিং অনুমোদন বিএসইসির

বিতর্কিত জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের লক্ষ্যে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির বিডিং অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গত মঙ্গলবার বিএসইসির ৭৯৯তম নিয়মিত কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিএসইসির পরিচালক আবু রায়হান মোহাম্মদ মুতাসীম বিল্লাহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং। এ জন্য ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে রোড শো করেছে কোম্পানিটি। তবে কোম্পানিটির আইপিও আবেদন গত বছরের ৩০ জুলাই বাতিল করে দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু সেই কমিশন এখন কোম্পানিটিকে আনতে বিডিং অনুমোদন দিল।

জেএমআই হসপিটাল পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করা অর্থ দিয়ে জমি ক্রয়, ভবন তৈরী, মেশিনারীজ ক্রয়, ঋণ পরিশোধ কাজে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেট ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৭৮ টাকা। পুন:মূল্যায়নসহ নেট অ্যাসেট ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৯৯ টাকা। বিগত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ দশমিক ৪২ টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট এবং জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

উল্লেখ্য জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের পরিশোধিত মূলধন ৯০ কোটি টাকা। কোম্পানিটির কাট অফ প্রাইসের ২০ শতাংশ ডিসকাউন্টে সাধারণ বিনিয়োগকারীর নিকট শেয়ার ইস্যু করবে এবং এখন থেকে ইস্যুয়ার কোম্পানি কোনো ধরণের ইন্টার কোম্পানি লোন অনুমোদন করতে পারবে না। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পূর্বে কোম্পানিটি কোন প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।

এদিকে, করোনা (কোভিড ১৯) মহামারির দূর্যোগকালীন সময় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ২০ হাজার ৬০০ পিস মাস্ক এন-৯৫ হিসেবে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) সরবরাহ করেছিল জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং। দুটি চালানের ওই মাস্কের প্যাকেটের মোড়কে এন-৯৫ মাস্ক লেখা থাকলেও ভিতরে পাওয়া যায় নকল মাস্ক। যা কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিদর্শনে উঠে আসে। পরে দায়মুক্তি চেয়ে ক্ষমা চায় প্রতিষ্ঠানটি।

ওই সময় নকল মাস্ক সরবরাহের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজড়ে আসে। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী এক ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, এন-৯৫ লেখা বক্স, কিন্তু ভিতরের যে জিনিসটা, সেটা দেখা দরকার। এখানে নজড় দেন। লেখা এন-৯৫ থাকলেও ভিতরে সবসময় সঠিকটা যাচ্ছে না। কেউ যদি এরকম কিছু করে থাকে এবং তার সাপ্লায়ার কে? বাবুনগর হাসাপাতালে এমন গেছে। ওটাতো করোনাভাইরাসের জন্য ডেডিকেটেড। এমন যদি কিছু কিছু জায়গায় হয়, সেটাতো ঠিক না। তাই যাদেরকে এইসব পণ্য সরবরাহের ব্যবসা দেওয়া হয়, সেদিকে নজড়দারি বাড়ানো দরকার।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন