ঢাকা | রবিবার
২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনে বাংলাদেশের বিশাল রফতানি বাজার

ধানে লোকসান চায়ে স্বপ্ন
  • দুই লাখ কোটি টাকার রফতানির হাতছানি

গোটা বিশ্বে শীর্ষ রফতানিকারক হওয়ার পাশাপাশি চীন নিজেও বিশাল আমাদনিকারক দেশ। দেশটিতে রয়েছে প্রায় ৪০ ট্রিলিয়ন ডলারের স্থানীয় বাজার। যেখানে প্রবেশের অপার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। চীনের এই বাজারের এক শতাংশও যদি বাংলাদেশে নিতে পারে তাহলে কেবল চীনেই ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় দুই লাখ কোটি টাকার রফতানির সুযোগ রয়েছে। আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশের সামনে এই সুযোগ ঝুলে থাকবে। সেজন্য বাংলাদেশের একটি মসৃণ গ্র্যাজুয়েশনের জন্য চীনের এই বাজারকে টার্গেট করা উচিত।

এমন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন রিসার্স অ্যান্ড পলিসি ইন্টারগেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. আবু ইউসুফ। বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত ‘চীনা বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের সম্ভাবনা: অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা কীভাবে কাজে লাগানো যায়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন।

গত ১৩ নভেম্বর আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বাংলাদেশের উচিত চীনে রফতানি বাজার সম্প্রসারণে আরও সংক্রিয়ভাবে কাজ করা। কারণ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আমদানিকারক চীনের বজারে বাংলাদেশের রফতানি অতি সামান্য।

ইপিবির মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বিআইডিএস-এর রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট শিবান শাহানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইএসএসের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির।

ওয়েবিনারে ইউএনডিপি বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, এলডিসি উত্তরণটা মসৃণ করতে বাংলাদেশের উচিত হবে চীনের বিনিয়োগ এবং রফতানি বাজারের দিকে সমানভাবে ফোকাস করা। চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ পরিকল্পনা বাংলাদেশের জন্য একটি ট্রাম্পকার্ড হতে পারে।

বাংলাদেশ ও চীনের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের বিষয় উল্লেখ করে বিসিসিআইয়ের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন ঐতিহ্যগতভাবে হাজার বছর ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উপভোগ করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের উন্নয়ন দ্রুত গতিতে হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় একমুখী, যা প্রবলভাবে চীনের পক্ষে গেছে। চীনের প্রবেশাধিকারমূলক শুল্কমুক্ত সুবিধা কম ব্যবহার হওয়ার কারণে এই বাণিজ্য ব্যবধান ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। আল মামুন মৃধা আরো বলেন, বাংলাদেশের রফতানি সম্প্রসারণে চীনের উচিত সহায়তা করা। যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে কমাতে সহায়তা করবে।

চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান বলেন, আট হাজার ২৫৬টি পণ্যের জন্য বাংলাদেশকে দেওয়া চীনের প্রবেশাধিকারমূলক শুল্কমুক্ত সুবিধা গত বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এই নতুন শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশের কার্যকারিতার সঙ্গে চীনে বাংলাদেশের রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই অনুযায়ী বৈচিত্র্যময় পণ্যের প্রস্তুতির অভাব ও করোনা মহামারির কারণে তা ব্যাহত হয়েছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন