ভারতের চিনিকলগুলো চলতি বিপণন মৌসুমের প্রথম ৪০ দিনেই ২ লাখ ৭৬ হাজার টন চিনি রফতানি করেছে। এর মধ্যে সর্বাধিক সরবরাহ করা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ১ লাখ ৪৪ হাজার টনেরও বেশি চিনি কার্গোবোঝাইয়ের অপেক্ষায়। অল ইন্ডিয়া সুগার ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (এআইএসটিএ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
চলতি ২০২১-২২ মৌসুমের এখন পর্যন্ত চিনিকলগুলো ১৮ লাখ টন চিনি রফতানির চুক্তি করেছে। চিনির বিপণন মৌসুম শুরু হয়েছে অক্টোবরে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে মৌসুম শেষ হবে। চলতি মৌসুমে সরকারি কোনো ভর্তুকি ছাড়াই চিনি রফতানি করা হচ্ছে।
এআইএসটিএর দেয়া তথ্যমতে, চিনিকলগুলো ১ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭৬ টন চিনি রফতানি করে। এর মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার টনই সংযুক্ত আরব আমিরাতে রফতানি করা হয়। বাংলাদেশে রফতানি করা হয় ৫২ হাজার ৩৩০ টন, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এছাড়া সোমালিয়ায় ২৪ হাজার ৯৬০ এবং ইরানে ২২ হাজার ৬৪৬ টন চিনি রফতানি করে ভারত।
এআইএসটিএ বলছে, ১৮ লাখ টন চিনি রফতানির চুক্তি করা হলেও অপরিশোধিত চিনি রফতানি কিছুটা স্লথ হয়ে পড়েছে। কারণ চিনিকলগুলো এবার দেরিতে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক রাজ্যের চিনিকলগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি চিনি রফতানি করা হয়েছে। বৈদেশিক বিনিময় জটিলতা থাকলেও শ্রীলংকায় ১৮ হাজার ২৯০ টন চিনি রফতানি করা হয়।
উল্লেখ্য, বিদায়ী মৌসুমে ভারত সব মিলিয়ে ৭২ লাখ ৩০ হাজার টন চিনি রফতানি করেছিল। বেশির ভাগ চালানই সরকারি ভর্তুকি পেয়েছিল।