ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ অব্যাহত

মার্কিন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীন ব্যতিত অন্য কোনো গন্তব্যমুখী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই আহ্বান উপেক্ষা করে কোম্পানিগুলো বড় অংকের বৈদেশিক বিনিয়োগ করেছে দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতিটির দেশটিতে। ১৪০ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশটির ক্রমবর্ধমান ক্রয়সক্ষমতার বিষয়টি অগ্রাহ্য করা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর কাছে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। টেসলা থেকে শুরু করে ওয়ালমার্টের মতো কোম্পানিগুলো চীনে তাদের ব্যবসায় কার্যক্রম সম্প্রসারিত করছে।

একই সঙ্গে কোরিয়া, জাপান ও ইউরোপের অনেক বহুজাতিক কোম্পানিও চীনের বৃহৎ বাজারে দৃষ্টি রাখছে। এতে মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির ফলে অনেক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি চীন ছেড়ে অন্য বাজারে চলে যাওয়ায় যে ক্ষতি হয়েছিল, তা সামলে উঠতে পারছে বেইজিং।

২০১৯ সালের প্রথম নয় মাসে চীনে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ শতাংশ বেড়েছে বলে জানায় চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যদিও গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের এফডিআই চীনের চেয়ে বেশি ছিল, তবে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তা নিম্নমুখী রয়েছে।

চীনের ভোক্তা বাজারের দিকে শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানিগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে প্রথম কারখানায় ব্যাপক হারে গাড়ি নির্মাণ করতে যাচ্ছে টেসলা। সাংহাই ভিত্তিক ওই কারখানায় ৫২ কোটি ১০ লাখ ডলার ঋণ সরবরাহ করেছে চীনা ব্যাংকগুলো। এ রকম বৃহৎ আকারের বিনিয়োগে পুরো সাপ্লাই চেইনেই কার্যক্রম চাঙ্গা হয়েছে।

দশকের সবচেয়ে শ্লথগতির মধ্য দিয়ে গেলেও বৈদেশিক অর্থপ্রবাহ সার্বিক বিনিয়োগে শ্লথগতি মোকাবেলা করতে এবং কর্মসংস্থান লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়তা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে আরো কয়েকটি বৃহৎ বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে।

সাংহাইয়ে আয়োজিত চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপোতে আস্ট্রাজেনেকার প্রধান সিইও প্যাসকাল সরিয়ট বলেন, বাণিজ্যযুদ্ধ থাকুক বা না থাকুক, ১৪০ কোটি মানুষের আকর্ষণ আপনি অবজ্ঞা করতে পারবেন না। আমাদেরকে চীনে অধিক বিনিয়োগ করতে হবে।

 

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন