আগামী বছরও জ্বালানি তেলের বাজার স্থিতিশীল থাকবে। এমনটিই জানিয়েছে ইন্টারন্যাশন্যাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) । তবে জ্বালানি তেলের রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক ও ওপেকবহির্ভূত দেশ নিয়ে গঠিত ওপেক প্লাস জোট নিম্নমুখী এ বাজার চাঙ্গা করার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যটির সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে বাজার চাঙ্গা করার যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জোটটি, সেটি খুব তাড়াতাড়ি আশার মুখ দেখছে না বলে আভাস দিচ্ছে সংস্থাটি ।
আধিপত্য বিস্তার করতে জ্বালনি তেলের বাজারে ওপেক জোটের সাথে পাল্লা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উত্তলোন বাড়িয়ে যাচ্ছে । আর তাই দেশটির আধিপত্য ঠেকাতে ওপেকের শীর্ষ উৎপাদক দেশ সৌদি আরব ও ওপেকবহির্ভূত দেশগুলো নিয়ে ওপেক প্লাস গঠন করা হয় ।
এ জোটের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত জোটভুক্ত সদস্য দেশগুলো সম্মিলিতভাবে দৈনিক ১২ লাখ ব্যারেল কম জ্বালানি তেল উত্তোলন করবে। ওপেক প্লাস জোট মনে করে, এর মধ্য দিয়ে সরবরাহ সংকটে বাজার চাঙ্গা হবে। তবে ওপেকের এ প্রয়াসের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এ জোটের বাইরে থাকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, নরওয়ে ও গায়ানার মতো শীর্ষ উত্তোলক দেশ।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, মার্কিন শেল উৎপাদন ও রফতানি যে হারে বাড়ছে, তাতে ওপেকের একার পক্ষে আর জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এমন পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাজিলকে নিজেদের জোটে যোগ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ওপেকের শীর্ষ উৎপাদক দেশ ও কার্যত নেতা সৌদি আরব। কিন্তু ব্রাজিল এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। যার ফলে জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ওপেকের সামনে আগামী বছরও চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল।
আনন্দবাজার/এফআইবি