পার্বত্য অঞ্চলে দিনে দিনে বাড়ছে সবজি আবাদ। সবজি চাষে তুলনামূলক লাভ বেশি হওয়ায় অনেক তামাক চাষি এখন তামাক ছেড়ে সবজি চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। কিন্তু চলতি বছরে বৈরী আবহাওয়া ও অসময়ে বৃষ্টিপাতের জন্য কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
বিগত বছর গুলো তে ক্ষীরা চাষে লাভ হলেও এ বছর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের কারণে ভালো ফলন হয়নি। অতি বৃষ্টির কারণে ক্ষীরা গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কৃষক আবুল কাশেম জানান, ৩০ শতক জমিতে ক্ষীরা চাষ করেছি কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে ফলন কমে গেছে। কম বৃষ্টি হলে ফলন ভালো হয়। গত বছর প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষিরা বিক্রি করেছি আর এ বছর মাত্র ২০ হাজার টাকার ক্ষীরা করেছি।
তিনি আরো জানান, সার, বীজ, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বাবদ এই নিয়ে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ক্ষীরায় লোকসান হবে।
সবজি চাষি তাজুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৮ শতক জমিতে ক্ষীরা চাষ করেছি পুরো ক্ষেত হলুদ হয়ে যায়। এই এলাকার অনেকেই ক্ষীরার আবাদ করেছে ,সবারই একই অবস্থা। বাজার থেকে ওষুধ কিনে স্প্রে করেও কোনো লাভ হয়নি
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওঙ্কার বিশ্বাস জানান, এ বছর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে অসময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার জন্য ক্ষীরা, আলু ও বেগুন ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াবে এবং তাদের মাঝে সার, বীজ প্রণোদনা হিসেবে প্রদান করা হবে।
আনন্দবাজার/এম.কে