ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঔষধি গাছ বাসক চাষে স্বচ্ছল কৃষক

ঔষধি গাছ বাসক চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের কৃষকরা রাস্তার পাশে বাসকের চাষ করে হচ্ছেন স্বচ্ছল।

২০১৬ সালে চন্ডিপুর ইউনিয়ন কৃষি উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যরা বাসক চাষের উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬০ কিলোমিটারের মত রাস্তার পাশের জমি লিজ নিয়ে বাসকের চাষ শুরু করেন সমিতির সদস্যরা।

‘একমি’ ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে বাসক পাতা বাজারজাত করার জন্য চুক্তি করা হয় সমিতির পক্ষ থেকে। এরপর সমিতির পাশিাপাশি সমিতির বাইরেও বাসক চাষ শুরু করেন কৃষকরা।

যেকোনো মৌসুমেই বাসক চারা রোপণ করা যায়। চারা রোপণ করার ৩ মাস পর বাসক গাছে পাতা ধরে। গাছ সাধারণত ১ থেকে ৩ মিটার উঁচু হয়। পাতা পরিপক্ব হওয়ার পর গাছ থেকে ছিঁড়ে রোদে শুকিয়ে বাসক বিক্রি করতে হয়।

সর্দি, কাশি এবং শ্বাসনালির প্রদাহ দূর করতে বাসক পাতা বিশেষ উপকারী। তাই সর্দি, কাশি এবং শ্বাসনালির প্রদাহের ঔষধ তৈরীতে বাসক পাতা ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

চন্ডিপুর ইউনিয়ন কৃষি উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির ক্যাশিয়ার আঙ্গুর মিয়া বলেন, বাসক চাষে খরচ হয় খুব কম। হালকা পরিচর্যা ও বালাইনাশক ওষুধ প্রয়োগ করেই বাসক উৎপাদন করা যায়। ৬০ কিলোমিটার রাস্তার ধারে লাগানো বাসক গাছে বছরে খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। যা থেকে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব হয়।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার রেজা-ই-মাহমুদ জানান, বাসক চাষ অত্যন্ত লাভজনক। উপজেলার কৃষকের লাগানো বাসক ক্ষেতগুলো নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। যাতে করে কৃষকরা অধিক লাভ করতে পারে, সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন