ঢাকা | শনিবার
২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোজায় শরীরের ক্লান্তি দূর করবেন যেভাবে

করোনার আবহে এবারের রোজায় সুস্থ থাকা চ্যালেঞ্জের বিষয়। সুস্থ থাকা নির্ভর করবে আপনার উপর। রমজান হলো সংযমের মাস। তাই এ সময় বেশি খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।

অনেকেই রোজা রেখে সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে ইফতার থেকে সাহরির সময় পর্যন্ত এটা-সেটা খেতেই থাকেন। তবে এমন হলে আপনি দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তাই রমজানে জেনে বুঝে খাবার গ্রহণ করুন। তবেই আপনি সুস্থ থাকবেন। চলুন জেনে নিই রমজানে সুস্থ থাকার ৩টি মূলমন্ত্র :

পানি

সারাদিন রোজা রাখার ফলে পানি পান থেকে বিরত থাকতে হয়। তাই ইফতার থেকে সাহরির আগ পর্যন্ত ঘন ঘন পানি পান করুন। কিন্তু একসাথে অনেক পানি পান করবেন না।

এর পাশাপাশি তাজা ফলের রস বা দুধ পান করুন। পাশাপাশি খাবারে ঝোলজাতীয় তরকারি, স্যুপ বা স্টু রাখতে হবে নিয়মিত। তরমুজ বা মাল্টার মতো রসালো ফল খেতে হবে। এছাড়া বেশি করে শাক-সবজি যেমন, শসা, লাউ, পালং শাক, পেঁপে ইত্যাদি খেতে হবে।

কফি, চা এবং কোমলপানীয় পান করলে প্রস্রাব বেড়ে যায়। ফলে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হতে থাকে, যা বিপদের কারণ। তাই রোজা রেখে ইফতার বা সাহরিতে চা, কফি বা কোমলপানীয় পান করবেন না।

অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার

রমজান মাসে সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে মিষ্টি এবং ফ্যাটজাতীয় খাবারের প্রতি আমাদের আসক্তি বাড়ে। ইফতারে অস্বাস্থ্যকর ভাজা-পোড়া বা ভারি খাবার খেয়ে থাকেন অনেকেই। তবে এসব খাবার আমাদের বেশি পিপাসার্ত করে দেয়।

ভাজা-পোড়ার বদলে বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। ছোলা খেলেও তেল-মশলা ছাড়া খাওয়া ভালো। তা না হলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যাবে। সাদা রুটি, পাস্তা বা চিনিযুক্ত সিরিয়ালের পরিবর্তে কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ বাদামি চাল বা রুটি খেতে পারেন।

বিশ্রাম এবং শরীরচর্চা

রমজানে একদিন রোজা রাখার পর আবার পরের দিনের জন্য আপনার শরীর প্রস্তুত করতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও অনুশীলন করা। এজন্য শরীরকে দিতে হবে পুষ্টি। যার সাহায্যে শরীর আপনাকে শক্তি দেবে।

রোজায় ফাইবারযুক্ত খাবারের কোনো বিকল্প নেই। এ সময় যদি কম শর্করা এবং ভালো ফ্যাটজাতীয় খাবার খান তবে শরীর অনেক শক্তি পাবে। শরীর কখনো ক্লান্ত হবে না।

শরীরকে সচল রাখতে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করুন। প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন। পাশাপাশি নিতে হবে বিশ্রাম। তবে সারাদিন শুয়ে-বসে থাকবেন না। রমজানে প্রতিদিন দুপুরের পর একটু ঘুমিয়ে নিন।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন