ঢাকা | সোমবার
১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন তছনছ, ট্রেনসহ সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে তান্ডব চালিয়ে তছনছ করেছে। ভাঙচুরের পাশাপাশি পুরো স্টেশন চত্বরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। এতে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ও পুরাতন কাচারি এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে।

রেলস্টেশন এলাকায় অগ্নিসংযোগের ছবি তুলতে গেলে মাদ্রাসার ছাত্ররা দ্য ডেইলি স্টারের নিজস্ব সংবাদদাতা মাসুক হৃদয়ের উপর হামলা চালায়। তারা মাসুক হৃদয়কে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং তার কাছ থেকে স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ধারণকৃত ছবি মুছে দেয়। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মীর মোহাম্মদ শাহিনসহ আরো কয়েকজন মাদ্রাসাছাত্রদের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করেন।

এদিকে কয়েক ঘন্টা ধরে চলা তান্ডব নিভৃত করতে প্রশাসনের তেমন কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি। অনেকটা অসহায় ছিলেন তাঁরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে দুপুর থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রথমে পৌর এলাকার ভাদুঘর থেকে শত শত তৌহিদি জনতা ও মাদ্রাসা ছাত্র বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। পরে টি.এ. রোড এলাকায়ও মিছিল বের হয়। বেলা পৌণে চারটার দিকে দেশিয় অস্ত্রধারী হাজারো জনতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে তান্ডব চালায়। এ সময় তারা ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ বেশ কয়েকটি কক্ষে ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় স্টেশন চত্বরে বিকট শব্দে কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। ঘটনার পর পর ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকাগামী কর্ণফুলি এক্সপ্রেস ট্রেন ভাদুঘর এলাকায় আটকা পড়ে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়াস্থ জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসাসহ শহরতলীর আশপাশের বেশ কয়েকটি কওমি মাদ্রাসার হাজারো ছাত্র পুরো শহর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তান্ডব চালাচ্ছে।

আনন্দবাজার/শাহী/নয়ন

সংবাদটি শেয়ার করুন