ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের অপেক্ষায় 

১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালে বিনাখরচে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তখনকার সরকার বুঝতেই পারেনি এর গুরুত্ব কতখানি। দেশের ‘তথ্য পাচার’ হয়ে যাবে এই আশঙ্কায় প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরপর দুবার তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ মিস করলেও ২০০৬ সালে সেই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হয়নি। ওই বছরের ২১ মে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছিল সি-মি-উই-ফোর সাবমেরিন ক্যাবলে। যদিও এর জন্য বাংলাদেশকে গুনতে হয়েছিল ৭৫০ কোটি টাকা। এরপর বাংলাদেশ দ্বিতীয় ক্যাবলেও যুক্ত হয়েছে। অপেক্ষা এখন তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের।

সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়াকে স্বাধীনতার ৫০ বছরে অন্যতম সেরা অর্জন বলে অভিহিত করেছেন প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা। এ সংযুক্তির ফলে রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন, ২০৩১ ও ২০৪১–এ পদার্পণ করা সহজ হবে। সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার ফলে আমদানিকারকের দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন ব্যান্ডউইথ রফতানিকারকের দেশ।

জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়াটা আমাদের বড় অর্জনের একটি। প্রথমবার সুযোগ মিস করেছি। পরে সেটা হাতছাড়া হয়নি। সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত না হলে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারতাম না। নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ব্যান্ডউইথের কিছু অংশ রফতানিও করছি।

তিনি যোগ করেন, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হতে পারলে বাংলাদেশ আরেকটি মাইলফলক অতিক্রম করবে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান বলেন,‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই আমরা দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছি। শিগগিরই তৃতীয় ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হবো।’

তবে যে সময়টা আমরা সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়েছিলাম, সেটা যদি আরও ৫-১০ বছর আগে হতো তবে আইসিটি খাত দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যেত বলে তিনি মনে করেন।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন