এবার ঝিনাইদহে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। পেঁয়াজের বাজারদর ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখেও। ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ পেঁয়াজ। প্রতি ১ বিঘা জমি থেকে কমপক্ষে ১২০ মণ করে পেঁয়াজ ঘরে তুলছেন কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অদিদফতর সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহে এবার পেঁয়াজ চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষ হয়েছে লক্ষমাত্রার চেয়েও বেশি। ১০ হাজার ৪৭২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।
ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয় শৈলকুপা উপজেলায়। জেলার ৯ হাজার ৫০ হেক্টর জমির পেঁয়াজের মধ্যে এই উপজেলায়ই চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে। দেশের পেঁয়াজের চাহিদার বড় একটি অংশের যোগান হয় এই উপজেলায়। এখন চলছে পেঁয়াজ উত্তোলনের মৌসুম।
শৈলকুপার ব্যবসায়ীরা জানান, এখানকার পেঁয়াজ ঢাকার কারওয়ান বাজার, ভৈরব, সিলেট, চট্রগাম, খুলনা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়।
শৈলকুপা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলায় চাষযোগ্য মোট জমি আছে ২৮ হাজার ৫০০ হেক্টর। এরমধ্যে এ বছর পেঁয়াজের চাষ হয়েছে ৭হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে। যারমধ্যে শুধু পাইকপাড়া গ্রামে চাষ হয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমিতে। বারি-১, লাল তীর, লাল তীর কিংসহ বেশ কয়েকটি জাতের পেঁয়াজ বেশি চাষ হচ্ছে। এবছর অনেক কৃষক সুখসাগর জাতও চাষ করেছেন।
কৃষকেরা জানিয়েছেন, এ মৌসুমে পেঁয়াজ চাষের শুরুতে বীজ নিয়ে তারা সংকটে পড়েন। বেশিরভাজ বীজে ভাল অঙ্কুরোদগম হয়নি, চারা গজায়নি, ফলে বাড়তি বীজ লাগে। কেউ কেউ ডবল করে বীজতলায় বীজ ফেলতে বাধ্য হয়। অসাধু ব্যবসায়ী ও বীজ ডিলাররা সুযোগ বুঝে বাড়িয়ে দেয় দামও।
উপজেলার পাইকপাড়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কোরবান আলী জানিয়েছেন, এ ব্লকে ৪০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এখানে ১৫৬০টি কৃষি পরিবার রয়েছে। কম-বেশি প্রায় সবার জমিতে রয়েছে পেঁয়াজ । চাষটি ক্রমেই বাড়ছে বলে জানান তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ঝিনাইদহের উপ-পরিচালক মো. আজগর আলী বলেন, অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবার ঝিনাইদহে লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে, ফলনও বাম্পার হয়েছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি