ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপী নিয়ন্ত্রণ জরুরী

টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে খেলাপি ঋণ কমানো বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এই চলমান সংকট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগে একটি পদ্ধতি হাতে নেয়া যেতে পারে যার মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপী এবং অনিচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপী সনাক্ত করা যেতে পারে। এতে করে খেলাপী ঋণ কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সুবিধা হবে।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি এ মত ব্যক্ত করেছেন।

এছাড়া দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ ও সুদ হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা প্রয়োজন। এ সুদহার বাস্তবায়নে সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি বলে জানিয়েছে ডিসিসিআই।

পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন।

গতকাল শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ চিত্র ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি ওসামা তাসীর।

সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেকসই করতে বেসরকারি খাতের প্রতিবন্ধকতা কমাতে বেশ কিছু নীতি সুপারিশ উপস্থাপন করেন।

দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানির মূল্য নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। ভ্যাট দেওয়ার ক্ষেত্রে সব হারে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট প্রদান এবং কাঁচামাল আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়া আর্থিক নীতিমালা, চামড়া, ওষুধ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, পুঁজিবাজার, বন্দর ব্যবস্থাপনা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উপর সুপারিশ তুলে ধরেন তিনি।

ওসামা তাসীর বলেন, খেলাপী ঋণ বৃদ্ধি ও ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীরা সঞ্চয়পত্রের দিকে ধাবিত হওয়ায় বেসরকারীখাতে ঋণ কমেছে। এ ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে করের আওতা বাড়াতে হবে। যাতে সরকারের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়া কমে।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন