বরগুনার তালতলী উপজেলায় আগাম ইরি-বোরো চাষে শীত উপেক্ষা করে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। এলাকার মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে নেই কোনো শিল্প কারখানা। কৃষকরা ইরি-বোরো চাষের পাশাপাশি সরিষা,ডালসহ আরো বিভিন্ন জাতের ফসল দিয়ে থাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় চারা বীজ লাগাতে ব্যস্ত কৃষকরা। কেউ পাম্প দিয়ে জমিতে সেচ দেয়। আবার কেউ ইরির বীজ ফালানোর আগে জমিতে বিভিন্ন জাতের সার-ওষুধ প্রয়োগ করে থাকে। কেউ আবার বীজ তোলায় ব্যস্ত।
কৃষকরা জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন মোটামুটি হয়েছে। করোনায় এবার ধানের দাম প্রথম থেকে ভাল ছিল এবং শেষ পর্যায়ে ধানের বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা গেছে। আমাদের অনেকের ধান বাসার আঙ্গিনায় উঠতে অনেক সময় লেগে গেছে। শেষ পর্যায়ে বাজারের দাম না পাওয়ায় এখন ও রয়েছে। বাজারে ধানের দাম ভাল থাকলে আমাদের সুবিধা হতো। বাজারে দাম ভাল পাওয়ায় আসায় আমরা অনেকে ইরি-বোরো চাষ করতেছি। বাজারে ধানের যদি ভাল থাকে এবং সরকার কর্তৃক অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেলে আমরা ভাল ফলনের আশা করি। প্রতি বিঘায় সেচ, চাষ, সার ও কীটনাশক এবং মজুরিসহ সর্বমোট ৭/৮ হাজার টাকা খরচ হয়। ধানের দাম বাড়ানোর দিকে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি আমরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিক থেকে ধানের দাম বেশী থাকায় উপজেলার কৃষকরা ইরি-বোরো চাষের আগ্রহ বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এবারে প্রায় ৩হাজার হেক্টর জমিতে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়েছে। এখন থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। উচ্চ ফলনশীল জাতের বিরি-২৮ আরো অন্যান্য বীজ রোপণ করছে। এছাড়া ও বিভিন্ন জাতের মুগ ডাল,সরিষা বীজ চাষ করছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব আরিফুর রহমান বলেন, ইরি-বোরে চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। কৃষকদের আমরা বিভিন্ন ভাবে সহায়তা দিয়ে থাকি। ইরি-বোরো চাষে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টি রয়েছে। চলতি মৌসুমে ১০৫৯জন চাষিকে সরিষা, ভৃুট্টা, মুগসহ বিভিন্ন জাতের বীজ দেওয়া হয়েছে। কৃষি উৎপাদনে কৃষি বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আনন্দবাজার/শাহী/নাদিম