ঢাকা | বুধবার
১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই’শ কোটি টাকার শুটকি উৎপাদন হয় নাজিরারটেকে

কক্সবাজার শহরের সমুদ্র তীরে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম শুটকি পল্লী নাজিরারটেকে চলতি মাসের শুরু থেকে শুটকী উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে গত ৩ দিন ধরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে উৎপাদন কাজ বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে উঠলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পুনরায় শুটকী উৎপাদন শুরু হবে।

বর্ষায় মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ৫ মাসের বেশি সময় ধরে নাজিরারটেক শুটকি মহাল বন্ধ ছিল। গত ৩১অক্টোবর থেকে সাগরে ফের মাছধরা শুরু হলে ধীরে ধীরে সচল হয়ে ওঠে শুটকি মহালটি। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে ঘূর্ণিঝড়ে ধাক্কা খেল শুটকী উৎপাদন। গত কয়েক দিন ধরে আকাশে রোদ না থাকায় উৎপাদন প্রায় বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর এসআইএম আকতার কামাল বলেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে আসার পর সাগরে মাছ পাওয়া গেলেই পুনরায় শুটকী উৎপাদন শুরু হবে। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শুটকী উৎপাদন চলে। শহরের উত্তর-পশ্চিমাংশে ১০০ একর বালুচরের উপর গড়ে ওঠা দেশের বৃহত্তম শুটকি পল্লীতে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক শুটকি উৎপাদন কাজে নিয়োজিত, যারমধ্যে অধিকাংশই নারী শ্রমিক রয়েছে।

বাঁশের তৈরি মাচার উপরে কাঁচামাছ বিছিয়ে সূর্যের তাপে শুকিয়ে শুটকি তৈরি করা হয়। সূর্যেরতাপে এই কাঁচা মাছ শুকিয়ে শুটকি হতে প্রায় ৩ থেকে ৪ দিনের মত সময় লাগে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বছর নাজিরারটেক শুটকি মহালে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন শুটকি উৎপাদন হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় দুই’শ কোটি টাকা। উৎপাদিত এই শুটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।

জেলা মৎস্য কর্মকতা এএসএম খালেকুজ্জামান জানায়, বঙ্গোপসাগর থেকে আহরণ করা ছোট আকৃতির মাছগুলো দিয়ে শুটকি উৎপাদন করা হয়। উৎপাদিতএ শুটকি শুধু কক্সবাজারে নয়, সারাদেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।

এখানে উৎপাদিত শুটকীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। এ দেশের মানুষের প্রোটিনের চাহিদার একটি বড় অংশ নাজিরারটেকের উৎপাদিত শুটকী থেকে পূরন হচ্ছে।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন