ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার ফলেই ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাতের এই বৃদ্ধি ঘটেছে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই মূল্যসূচকের উত্থান হয় শেয়ারবাজারে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বৃদ্ধির কারণে এক সপ্তাহর মধ্যেই ডিএসইর পিই বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় এক শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইর পিই ১২ দশমিক ৬১ পয়েন্ট থেকে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত এক সপ্তাহে মোট বৃদ্ধি পেয়েছে দশমিক ১২ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এর আগে গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্সসহ বাকি দুটি সূচকেরও উত্থান হয়। সূচকের এই উত্থানের মধ্যে লেনদেনে অংশ নেয়া ৬২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে।
খাত ভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সব থেকে কম পিই রেশিও ছিল ব্যাংক খাতের। আগের সপ্তাহে ৭ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে থাকলেও সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাংক খাতের পিই বেড়েছে দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। জ্বালানি খাতের পিই ১০ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট থেকে কমে ১০ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তার পরের স্থানে রয়েছে সেবা ও আবাসন খাত। এই খাতের পিই ১৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট থেকে কমে ১২ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের পিই ১২ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট থেকে ১২ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে , বীমা খাতের ১৫ দশমিক ৩০ থেকে ১৪ দশমিক ৩০, প্রকৌশল খাতের ১৩ দশমিক ৭৫ থেকে ১৩ দশমিক ২৪, বস্ত্র খাতের ১৫ দশমিক ৭৮ থেকে ১৫ দশমিক ৮৮, খাদ্য খাতের ১৬ দশমিক ৩৭ থেকে ১৫ দশমিক ৪৬, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮ দশমিক ৩৬ থেকে ১৭ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে কমে এসেছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস