সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার পাটুলিয়া গ্রামে ছাগলের খামার করে এলাকায় খ্যাতি পেয়েছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী জালালউদ্দিন। তার এই খামারে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল পালতে দেখে এলাকার মানুষ এখন ছাগল পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
প্রবাস জীবনের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জালালউদ্দিন এলাকায় আমিষের চাহিদা পুরণ করে আর্থিকভাবে সফল হয়েছেন। কাজের সন্ধানে ২০০২ সালে মালয়েশিয়াতে পাড়ি জমান তিনি।
২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চীনা প্রবাসীর ছাগলের খামারে কাজ করার সুযোগ হয় তার। তিনি ২০১৬ সালে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসেন, এরপর বাড়িতে ছাগলের খামার তৈরি করার কাজ শুরু করেন।
জালালউদ্দিন মালয়েশিয়ার সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গত ডিসেম্বরে নিজের ৮ বিঘা জমির উপর ছাগলের খামার তৈরী করেছেন। প্রথমে তিনি এলাকার বাজার থেকে ৮৩টি ছাগল কিনে তার খামারে পালন শুরু করেন। এরপর চার মাস যেতে না যেতেই তার খামারে ছাগলের পরিমান বেড়ে দ্বিগুন হয়।
নেপালী, ব্লাক বেঙ্গল, হরিয়ানাসহ এই খামারে ৫ প্রজাতির ছাগল রয়েছে। সাতক্ষীরার পশুসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, ছাগল পালন খুবই লাভজনক । ছাগল পালনে উপযুক্ত আবহাওয়া থাকায় অল্প দিনেই খামার করে লাভবান হওয়া যায়।
বর্তমানে ৫ জন শ্রমিক জালালউদ্দিনের খামারে কাজ করে। তার স্ত্রী ও সন্তানেরা শ্রম দিচ্ছে এই ছাগলের খামারে। জালালউদ্দিনের দেখা-দেখি ওই এলাকায় ছোট ছোট একাধিক ছাগলের খামার তৈরী হয়েছে। সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা পেলে ছাগল পালনে আরো বেশি উদ্বুদ্ধ হবে এলাকার মানুষ।
আনন্দবাজার/এম.কে