মহামারি করোনাভাইরসের মধ্যে প্রবাসী আয়ে বড় স্রোত এবং রপ্তানি আয়ের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়েই চলছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে, একটি দেশের নিকট অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর পর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত রাখতে হয়। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই রিজার্ভ দিয়ে কমপক্ষে ১০ মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, কোভিড-১৯ এর মধ্যে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ অনেক বেড়েছে। একই সঙ্গে রপ্তানি আয়ও ভালো আসছে। তবে আমদানি ব্যয় অনেকটাই কমে গেছে। এ কারণেই রিজার্ভে নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। তবে আমদানি বাড়তে থাকলে রিজার্ভ আবার কমে আসবে।
গত ১ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার অতিক্রম করে। এরপর ৮ অক্টোবর তা আরও বেড়ে ৪ হাজার কোটি ডলার হয়। গত ৩০ অক্টোবর তা ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার ছাড়ায়।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, সংকটে পড়লে এই রিজার্ভ অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে কাজে দিবে। আমদানি দায় মেটাতে সমস্যায় পড়তে হবে না।
আনন্দবাজার/এম.কে