মুসলিম রাষ্ট্রে শতকোটি টাকার অস্ত্র বিক্রি করবে ট্রাম্প প্রশাসন। আফ্রিকার দেশ মরক্কোর কাছে বিপুল পরিমাণ এই অস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে তারা। ইসরাইলের সাথে মুসলিম রাষ্ট্র মরক্কোর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ঘোষণার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বার্তা সংস্থা রয়র্টাসের মাধ্যমে জানা গেছে, রাবাতের কাছে ১০০ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করবে ওয়াশিংটন।
এ ব্যাপারে এরইমধ্যে তোড়জোড় শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অস্ত্রের বিক্রির ওই তালিকার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৪টি অত্যাধুনিক সামরিক ড্রোন রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রি সম্পর্কে ইতোমধ্যে একটি প্রজ্ঞাপন পাঠিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসে।
২ টি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে কংগ্রেসকে অবহিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। বহির্বিশ্বের কোনো দেশের সাথে বড় ধরনের অস্ত্রচুক্তির ব্যাপারে কংগ্রসকে পর্যালোচনা করার জন্য অবহিত করা হয়।
তবে মরক্কোর কাছে অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবের বিষয়টি একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না বলছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। দেশটির কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির ব্যাপারটি ঠেকিয়ে দিতে পারে কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন সিনেটররা আমিরাতে অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে ভালো সমর্থন দিয়েছেন। অধিকাংশ সিনেটর মনে করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প উপসাগরীয় অঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে অস্ত্রের লড়াইয়ের অবস্থা তৈরি করে দিচ্ছেন না। তবে সিনেটররা আমিরাতের কাছে এফ-৩৫ বিমান বিক্রি বন্ধ করতে পারেননি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদে সবচেয়ে বেশি অর্থের অস্ত্র বিক্রির চুক্তিগুলোর একটি এটি। সিনেটে চাপ দিয়েই মূলত সমর্থন আদায় করেন ট্রাম্প। জানা গেছে, ২৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি এটি। এই চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ-৩৫ বিমান নেবে আমিরাত।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে