প্রয়োজনের তাগিদে এটিএম বুথে লেনদেন বাড়ছে। একই সাথে বাড়ছে ভোগান্তিও। কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়া, বুথে জাল ও ছেঁড়া নোট, সবসময় পর্যাপ্ত টাকা না থাকাসহ নানা জটিলতা রয়েছে এটিএম বুথগুলোতে। যেহেতু গ্রাহক তাৎক্ষণিকভাবে লেনদেন করেন তা-ই সেবার মান নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন।
কিন্তু সেবার মান বাড়ানোতো দূরের কথা বুথ থেকে বের হওয়া ছেড়া ফাটা নোট অথবা জাল টাকা কোন গ্রাহক যদি পেয়ে থাকে তাহলে যেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মীরা নাকি কিছুই জানেনা। তাহলে কথা হল এই ছেড়া ফাটা, জাল টাকা নিয়ে গ্রাহক কোথায় যাবে । আর এই ছেড়া ফাটা, জাল টাকা এটিএম বুথের ভিতরে কে রাখে ।
এভাবেই এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রাহকরা। তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিকারও মিলছে না। ভোগান্তিতে পড়া একজন বলেন, গত ৬ অক্টোবর ইউসিবির ভিসা কার্ড দিয়ে ব্যাংক এশিয়ার এলিফ্যান্ট রোডের বুথ থেকে টাকা তুললে ছেঁড়া নোট বের হয়। নোটের কোনার ছোট একটা অংশ ছিল না। অন্যদিকে আলাদা কাগজের টুকরা লাগানো ছিল। সাথে সাথে কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিলে তারা বলে, ‘আপনার উচিত ছিল বুথের ক্যামেরার সামনে নোটটা ধরে রাখা। যেহেতু করেননি তাহলে নিকটস্থ ব্রাঞ্চে যান, তারা নোটের অবস্থা দেখে বলতে পারবেন এবং বদলে দিতে পারেন। কিন্তু পাশে কোনো শাখা না পাওয়ায় আমি বদলাতে পারিনি।’
বেসরকারি ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের একজন গ্রাহককেও বুথ থেকে টাকা তুলে বিপাকে পড়তে হয়। গত ১৭ অক্টোবর ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলে ওই ব্যাংকেরই একটি শাখায় জমা দিতে যান নজরুল ইসলাম। ওই শাখা দুটি নোট জাল হিসেবে শনাক্ত করে। পরে পাঞ্চ করে ফুটো করে দেয়া হয় নোট দুটি। নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যখন বলি যে, আপনাদের বুথ থেকেই মাত্র টাকা তুলেছি। তখন অফিসার বলেন, বুথগুলো ম্যানেজমেন্ট করে থার্ড পার্টি। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।