কুসংস্কারের প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে চীন নিয়ন্ত্রিত হংকংবাসীদের মনে। দেশটিতে ফেং সুইয়ের মতো বহু ধারণা ও দর্শন বিরাজ করছে। দেশটির বেশিরভাগ মানুষই এসব কুসংস্কার গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে চলে।
অঞ্চলটির মানুষ বিশ্বাস করে, এসব আচার-অনুষ্ঠান তাদের সৌভাগ্যের দরজা খুলে দেবে এবং দুর্ভাগ্যের দরজা বন্ধ করে দেবে। তাদের বিশ্বাস, দেবতা ও প্রফুল্ল ব্যক্তিরা ভাগ্য ঠিক বা পরিবর্তন করার দুর্দান্ত ক্ষমতা রাখে।
হংকংবাসীদের যেকোনো শুভ কাজ, যেমন- বিয়ে, জন্মদিন, এসব অনুষ্ঠানে লাল রঙের ব্যবহার এবং কালো ও সাদা রঙ পরিহার করা হয়। তারা কখনও কাউকে জুতা উপহার দেয় না। তাদের বিশ্বাস, সম্পর্ক নষ্টে কলকাঠি নাড়ে জুতো!
হংকংবাসীরা কখনও মইয়ের নিচ দিয়ে হাঁটে না। তারা মনে করে, পশ্চিমে এটি দুর্ভাগ্যের প্রতীক। চীনা সংস্কৃতিতে দুর্ভাগ্যের চিহ্ন ঘড়ি। তাই তারা কখনও উপহার হিসাবে কাউকে ঘড়ি দেয় না।
কারও জন্মদিন হলে কেক কাটার সময় তারা একদম নিচ পর্যন্ত কখনও কেক কাটে না। কারণ এতে ওই মানুষের অবিবাহিত থাকার আশঙ্কা থাকে!
তারা ছাতাকে শয়তানের প্রবেশদ্বার বলে বিশ্বাস করে। তাই বাইরে বের হলে তারা ছাতা ব্যবহার করলেও ঘরের ভেতর কখনও ছাতা মেলে না এবং অতিথিদের ছাতাও ঘরের ভেতর আনতে দেয় না।
আনন্দবাজার/টি এস পি