দেড়শ বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনের পর দেশটিতে রাজনৈতিক অবস্থার উন্নতি হলে ব্যবসায়ীদের ভেতরে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে। এতে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের পরিমাণও বেড়েছে।
শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) গণহারে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করেছে রাশিয়া। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যেও মঙ্গলবার থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করবে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে প্রত্যাশার আলো দেখা দিয়েছে অর্থনীতিতে।
যে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যাওয়া সোনার দামের সূচকের নমনীয়তা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান এ ধাতবের মূল্য ক্রমেই সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসা শুরু করেছে।
আজ শনিবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্সের সোনার দাম ১ হাজার ৮৩৯ ডলার, প্রতি গ্রাম ৫৯ ডলার আর প্রতি কেজি সোনার দাম ৫৯ হাজার ১৩৪ ডলার। যা গতকালের চেয়ে প্রায় ২ ডলার কম। এ দাম ক্রমেই কমতে থাকবে বলে আশা বিশ্লেষকদের।
এদিকে মহামারির মধ্যে কয়েক দফা বেড়ে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি হওয়ার পর সোনার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে আরেক দফা কমেছে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি সোনার দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
বুধবার (০২ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়। সোনার নতুন দর অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার মূল্য ৭২ হাজার ৬৬৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেট ৬৯ হাজার ৫১৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ভরি বিক্রি হবে ৫০ হাজার ৪৪৭ টাকায়।
মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ৭৩ হাজার ৮৩৩ টাকা, ২১ ক্যারেট ৭০ হাজার ৬৮৪ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬১ হাজার ৯৩৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হয়েছে ৫১ হাজার ৬১৩ টাকায়।
অর্থাৎ বুধবার থেকে ২২, ২১, ১৮ ক্যারেট ও সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমেছে। বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা।
আনন্দবাজার/ইউএসএস