বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ক্রেতাদের অতি প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ভোজ্যতেল। কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না ভোজ্যতেলের এ মূল্যবৃদ্ধি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও সয়াবিন তেল—দুটো পণ্যের দাম বাড়তির পথে রয়েছে। একই সঙ্গে শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় পাম অয়েল বেচাকেনা কমে সয়াবিন তেলের চাহিদা বেড়েছে। এসবের প্রভাব পড়েছে সয়াবিন তেলের পাইকারি ও খুচরা বাজারে। তাই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে ভোজ্যতেলটির দাম।
গত সপ্তাহে যেখানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১১৫ টাকায়, এ সপ্তাহে তা ১২০ টাকায় ঠেকেছে। আর পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন কোম্পানিভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৩০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও ছিল ৪৯০ থেকে ৫২৫ টাকা।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার মূল্য তালিকায়ও সপ্তাহের ব্যবধানে বোতলজাত সয়াবিনে দাম প্রতি লিটারে বেড়েছে ২ দশমিক ২২ শতাংশ। পাশাপাশি প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছে টিসিবি।
তবে, চাল ও ভোজ্যতেলের অস্থিরতার মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে সবজির বাজার। রাজধানীর বাজারে শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। যা, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়েও ১২০ টাকায় কিনতে হয়েছে। এছাড়া, বড় ফুলকপি (প্রতি পিস) বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়, মাঝারি আকারের বাঁধাকপি (প্রতি পিস) ২০ থেকে ৩০ টাকায়, এবং মুলা ২০ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া, গত সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া গাজরের দাম কমে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় নেমেছে। বাজারে প্রতিনিয়ত শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় সামনে সবজির দাম আরও কামবে বলে ধারণা ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
আনন্দবাজার/ইউএসএস