ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলিয়ে উঠছে অস্ট্রেলিয়া

কভিড-১৯ মহামারির আক্রমণে প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে অস্ট্রেলিয়া। বলা যায়, তিন দশকের মধ্যে এটিই সর্বপ্রথম ধাক্কা। তবে সেই ধাক্কা সামলিয়ে উঠতে সমর্থ হয়েছে দেশটি। তাই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে অর্থনীতির চাকা। 

মন্দা কাটিয়ে উঠলেও অস্ট্রেলিয়াকে এখন চীনের সাথে সম্পর্কের দিকে মনোযোগ দিতে হবে, কারণ দেশটি তাদের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার। সম্প্রতি চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বেশ অবনতি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার, যার প্রভাব কিছুটা বাণিজ্যেও পড়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের দেয়া তথ্যানুযায়ী, সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া প্রান্তিকে আগের প্রান্তিকের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি সম্প্রসারিত হয়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

অস্ট্রেলিয়ার ট্রেজারার জস ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন, আমরা সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছি এবং পুনর্গঠন প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও তিনি বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ নভেল করোনাভাইরাসের সঙ্গে নতুন করে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ায় তাদের ‘চ্যালেঞ্জ’ এখনো রয়ে গেছে।

এই চ্যালেঞ্জের বাইরেও বেইজিংয়ের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে হচ্ছে ক্যানবেরাকে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফ্রাইডেনবার্গ জানান, চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্বকে বেশ ‘গুরুতর পরিস্থিতি’ হিসেবে দেখছে অস্ট্রেলিয়া। তার কথায়, চীন আমাদের এক নম্বর ব্যবসায়িক অংশীদার। এই বাণিজ্যের ওপর অনেক অস্ট্রেলীয়র চাকরি নির্ভরশীল।

ফ্রাইডেনবার্গ জানান, চীনের সঙ্গে অচলাবস্থায় ঝুঁকি লাঘব করতে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বে অন্য সব সহযোগীদের সঙ্গে ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’ করার কথা ভাবছে। তিনি বলেন, আমাদের রফতানিকারকদের জন্য বিশ্বব্যাপী সুযোগ নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী।

অর্থনীতিবিদরা অবশ্য বলছেন, চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্ব আসলে এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছেনি, যে পর্যায়ে গেলে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির জন্য এটা সত্যিকার অর্থেই হুমকি হয়ে দেখা দেবে।

সূত্র : সিএনএন

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন