জ্বরঠোসা হলেই আমরা মনে করি রাতে হয়তো জ্বর এসেছিল। তবে একথা মানতে নারাজ চিকিৎসকরা। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলে ফিভার ব্লিস্টার। ফুসকুড়ি ওঠার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ঘা হয়। ঘা হয়ে ব্যাথা হয়, অনেক সময় রসও গড়ায়।
জ্বরঠোসার লক্ষণ-
– ঠোঁটের কোণে, বর্ডারে বা বর্ডারের আশেপাশে গুচ্ছ-বদ্ধ ফুসকুড়ি, জ্বর, ব্যথা, বমিভাব কিংবা বমি, মাথাব্যথা।
– খেতে অসুবিধা। ঠোঁটে জ্বালা করা। ঠোঁট বারবার শুকনো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
জ্বরঠোসা হওয়ার কারণ-
ফিভার ব্লিস্টারের কারণ হচ্ছে HSV-1 ইনফেকশন। এই ইনফেকশনের ফলে জ্বর আসে! আবার ভিটামিন সি আর ডি এর অভাবেও জ্বরঠোসা হয়।
প্রতিকারের উপায়-
বরফ
যে জায়গায় ঘা হয়েছে সেই জায়গা বরফ দিয়ে প্রেস করুন। বরফ দিয়ে চেপে ধরলে ব্যথা কমবে।
লেমন এসেন্সিয়ল অয়েল
লেবু রয়েছে এমন এসেন্সিয়ল অয়েল তুলো দিয়ে ক্ষতস্থানে চেপে চেপে লাগাতে হবে। এরপর ওখানে অয়েন্টমেন্ট জাতীয় কিছু লাগিয়ে নিন।
রসুন
জ্বরঠোসা হলে রসুন বেশি করে খান। প্রতিদিন গরম ভাতে রসুন আর কাঁচালঙ্কা ভেজে খান। রসুনের আচারও খেতে পারেন।
টি ট্রি অয়েল
স্নান করে বা মুখ ভালো করে ধুয়ে তুলোয় করে টি ট্রি অয়েল লাগান। ১৫ দিনেই অনেক উপকার পাবেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
ভিটামিনের অভাবেও জ্বরঠোসা হয়। আর তাই প্রতিদিন পাতে রাখুন ভিটামিন সি।
আনন্দবাজার/টি এস পি