শীতে কাশি, সর্দি, নিঃশ্বাসে সমস্যা ইত্যাদি অসুস্থতা আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। শীতকালে বায়ুদূষণ ও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে নানা রোগে ভোগে মানুষ। তাই গলা ঠিক রাখতে, এই সময় কাশি থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতেই এই টোটকাগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
মধু-
ঠাণ্ডা লাগা থেকে মুক্তি দেয় মধু। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে যা গলায় জমা সর্দি দূর করতে ব্যাপক সহায়তা করে। এমনকি চিকিৎসকরা সমীক্ষায় দেখেন, সর্দি-কাশি কমানোর যে কোনও ওষুধের থেকে মধু ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। গলা খুসখুস করলে চায়ের সাথে দু’চামচ মধু বা গরম জল ও লেবুর সঙ্গে দু’চামচ মধু খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আর খুসখুসে কাশি কমতে পারে।
লবণ পানি-
লবণ পানিতে গার্গল ফুসফুসে মিউকাস নষ্ট করে এবং ন্যাসাল প্যাসেজ পরিষ্কার হয় গার্গল করলে। কাশি থাকলে ১ কাপ ঈষৎ উষ্ণ জলে ১/৪ চা চামচ নুন দিয়ে, তা দিয়ে গার্গল করলে খুব দ্রুত উপশম মিলবে। তবে, কোনও বাচ্চার ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ না করাই ভালো। কারণ বাচ্চারা গার্গল করতে গিয়ে লবণ পানি খেয়ে ফেললে ক্ষতি করতে পারে তাদের পেটে।
আদার রস-
কাশি বা সর্দি হলে আদার রস খেলে তা খুব ভালো কাজ করে। আদা থেঁতো করে চায়ে দিয়ে খেলেও কাশি কমে যায়। আবার যদি কেউ চা না খান, তা হলে পানিতে আদা ফুটিয়ে তা খেলে বা মধু ও গোলমরিচের সাথে সরবতের মতো করে খেলে উপশম মিলতে পারে। তবে, বেশি আদা খাওয়া ভালো না, কারণ এটি পেটের সমস্যা তৈরি করে ও হার্ট বার্নও করে। তাই সামান্য আদা দিয়ে দিনে ১ বার কয়েকদিন চা বা সরবত খেলে আরাম পাওয়া যেতে পারে।
পুদিনা-
পিপারমিন্ট বা পুদিনায় মেন্থল থাকে যা নাকে সর্দি জমলে ন্যাসাল এরিয়া পরিষ্কার করে। সেই সাথে গলায় সর্দি জমলেও তা পরিষ্কার করে দেয়। কাশতে কাশতে গলা ব্যথা হয়ে গেলে পুদিনা সেই ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। দিনে ২/৩ বার পুদিনা দিয়ে বানানো চা খেলে কাশিও কমতে পারে, গলা ব্যথাও বা অস্বস্তিতেও আরাম মিলতে পারে।
ইউক্যালিপটাস-
ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েলও এ ক্ষেত্রে খুবই ভালো কাজ করে। তাড়াতাড়ি ফল পেতে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে বুকে ও গলায় মালিশ করলে উপশম মিলতে পারে। যদি তা না হয়, ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েলের স্টিম নিলেও নাক ও গলা পরিষ্কার করে যায়।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে